বজ্রপাত কি আল্লাহর আযাব, না ফেরেশতাদের কণ্ঠস্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক: বজ্রপাত একটি রহস্যময় ও ভীতিকর প্রাকৃতিক ঘটনা। অনেকেই প্রশ্ন করেন—এটি কি আল্লাহর পক্ষ থেকে আযাব, না কি এটি ফেরেশতাদের কোনো কাজ? ইসলামি হাদিস ও তাফসিরের আলোকে এই প্রশ্নের উত্তর জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ইমাম ইবনে আবি হাতিম (রহ.) ও অন্যান্য মুফাসসিরগণ কুরআন ও হাদিস থেকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে, বজ্রপাত হলো এক প্রকার ফেরেশতার আওয়াজ। বহু হাদিস ও ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আল্লাহ তাআলা এক বিশেষ ফেরেশতার মাধ্যমে মেঘমালা পরিচালনা করেন। সেই ফেরেশতার কণ্ঠ থেকে যে গর্জন বা শব্দ হয়—তাই হচ্ছে বজ্রপাত।
কুরআন মাজিদের সূরা রা'দ-এ আল্লাহ বলেন: "আর বজ্র তাঁর (আল্লাহর) প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং ফেরেশতারাও তা করে তাঁর ভয়ে।" (সূরা রা’দ, আয়াত ১৩)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, বজ্রপাত শুধু প্রকৃতির আওয়াজ নয়—বরং এটি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনায় ব্যবহৃত এক ধরণের 'তাসবিহ' বা প্রশংসামূলক কণ্ঠস্বর, যা ফেরেশতারা উচ্চারণ করেন।
সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বজ্রপাতের শব্দ শুনলে কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং একটি বিশেষ দোয়া পাঠ করতেন। তিনি বলতেন:
"سُبْحَانَ الَّذِي يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيفَتِهِ"
* উচ্চারণ: সুবহানাল্লাযী ইউসাব্বিহুর রা‘দু বিহামদিহি ওয়াল মালায়িকাতু মিন খীফাতিহি।
* অর্থ: “পবিত্র সেই আল্লাহ, যাঁর প্রশংসা করে বজ্র, আর ফেরেশতারা তাঁকে ভয় করে।”
এই দোয়ার মাধ্যমে বোঝা যায়, ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে বজ্রপাত মূলত আযাব নয়—বরং তা এক প্রকার আল্লাহর কুদরতের প্রকাশ, যা ফেরেশতার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
তবে কেউ কেউ বজ্রপাতকে সতর্কবার্তা বা আযাবের পূর্বাভাস হিসেবেও বিবেচনা করে থাকেন, বিশেষ করে যদি তা কোনো ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হয়। কিন্তু এটি আল্লাহর নির্ধারিত বিধানেরই একটি অংশ।
বজ্রপাত প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর নিযুক্ত ফেরেশতার আওয়াজ, যা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করে। এটি সরাসরি আযাব নয়, বরং কুদরতি এক নিদর্শন।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল ২০২৬ কার্যকর হচ্ছে: কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ছে ৩ ধাপে: জানুয়ারিতে শুরু প্রথম ধাপ
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত রিপোর্ট: ২০ গ্রেড কমে হচ্ছে ১৩টি, সর্বনিম্ন ৩২ হাজার
- বর্তমান সরকারের আমলে আসছে না নতুন পে-স্কেল: জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- নবম পে স্কেলের খসড়া চূড়ান্ত: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও সর্বোচ্চ ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার প্রস্তাব
- ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন পে স্কেল কার্যকর
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: গ্রেড ১৩ সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার
- মহার্ঘ ভাতাসহ যা যা আছে নতুন পে স্কেলে
- পে-স্কেল নিয়ে বিশাল বড় সুখবর পেলেন যারা
- অনার্স প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশ: এক ক্লিকে দেখুন এখানে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- নবম পে স্কেল: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও ১৩ গ্রেডের প্রস্তাব
- নবম পে স্কেলের চূড়ান্ত রিপোর্ট: যা যা আছে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
