প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ২ বিশেষ কোটা বাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটানির্ভর ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ৬০ শতাংশ নিয়োগ দেয়া হয় নারী কোটায়, ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা হিসেবে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, কোটানির্ভর এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ার কারণে প্রায়ই অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই কম নম্বর পেয়েও চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন, আবার কিছু প্রার্থীরা বেশি নম্বর পেলেও বাদ পড়ছেন। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার এবার কোটার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রস্তাবিত *"সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫"* এর খসড়া ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে। এই নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে নারী, পোষ্য এবং পুরুষ কোটা আর থাকবে না। উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, কোটা ৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বাকি ৯৩ শতাংশ পদ মেধার ভিত্তিতে পূর্ণ হবে। এই ৭ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী কোটা হিসেবে ভাগ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত হলে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৮ হাজার শূন্য পদ ছিল। এই পদসংখ্যা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় আরও বাড়তে পারে।
প্রস্তাবিত বিধিমালায় শুধুমাত্র কোটা পরিবর্তন নয়, আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে প্রধান শিক্ষক পদে ১০০% পদোন্নতির ব্যবস্থা করা হবে।
বর্তমানে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৫টি, যেখানে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫। শিক্ষক সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন, যার মধ্যে পুরুষ শিক্ষক ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৯ জন এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৭০ জন।
গত বছরের জুলাইয়ে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে কোটা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে, যাতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% এবং কোটা ৭% নির্ধারণ করা হয়। এই ৭% কোটা নিম্নরূপ ভাগ করা হয়েছে: মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য ৫%, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জন্য ১% এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১%।
এই পরিবর্তনের ফলে শিক্ষক নিয়োগে মেধার গুরুত্ব বাড়ানো হবে এবং কোটা ব্যবস্থার বৈষম্য কমানো সম্ভব হবে, যা দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বড় ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে পরিগণিত হবে।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা: কখন শুরু হচ্ছে লম্বা ছুটি?
- বিএনপির ৪০ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন? হাইকমান্ডের জরুরি নির্দেশনা ও তালিকা প্রকাশ!
- আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে শক্তিশালী ভূমিকম্পের মুখে বাংলাদেশ
- ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত রিপোর্ট, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বেতন স্কেলের গেজেট।
- নতুন পে স্কেলে 'বড় সুসংবাদ': ন্যূনতম বেতন ৩৫ হাজার, নভেম্বরেই রিপোর্ট আসছে
- যেসব আসনে প্রার্থী বদল হতে পারে বিএনপির
- ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ: আধুনিক প্রশিক্ষণে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- পে-স্কেল নিয়ে মিলল নতুন সুখবর
- সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকার দাবিতে সুখবর: পে কমিশন রিপোর্ট আসছে নভেম্বরেই
- পে স্কেল: সুপারিশ ৩০ নভেম্বর, গেজেট ১৫ ডিসেম্বর
- আসছে টানা ৩ দিনের সরকারি ছুটি
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড প্রথম টি-২০: দেখুন Live এখানে
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজারদর: ২৬ নভেম্বর ২০২৫
- ২৭ ও ২৯ নভেম্বর টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
