নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নে বাড়ছে অর্থের চাপ, কি সমাধান খুঁজছে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নে একদিকে যেমন ব্যয়ের চাপ বাড়বে, অন্যদিকে তেমনি রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে মনে করছে অর্থ বিভাগ। এই বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় পে-কমিশনকে আনুষ্ঠানিক মত দিয়েছে বিভাগটি।
অর্থ বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর প্রায় এক দশক সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি। ফলে বর্তমান কাঠামো পুনর্বিন্যাস এখন সময়ের দাবি। এ কারণেই নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য বাড়তি অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।
পে-কমিশনের প্রেক্ষাপট: দেশের ভেতরে রাজনৈতিক পরিবর্তন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাবে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বেতন বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বেতন কাঠামোয় বেতন বৃদ্ধি শতভাগ পর্যন্ত হতে পারে, যা সরকারের ব্যয় দ্বিগুণ করবে। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে চাপ পড়বে।
সীমিত সম্পদের মধ্যেও বাড়বে বেতন: জাতীয় পে-কমিশনের সভাপতি সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান স্বীকার করেছেন, “আমাদের হাতে সীমিত সম্পদ আছে, তবে সেই সীমার মধ্যেও সর্বোচ্চ হারে বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে।”
২০২৫-২৬ অর্থবছরেই বাস্তবায়নের পরিকল্পনা: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই নতুন বেতন কাঠামো গেজেট আকারে প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে। তিনি আরও জানান, “আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করতে হলে ডিসেম্বরে বাজেট সংশোধনের সময়ই সেটি যুক্ত করতে হবে।”
অতিরিক্ত অর্থের উৎস কী: অর্থ বিভাগ বলছে, দুটি উৎস থেকে অতিরিক্ত রাজস্ব আসবে —
চাকরিজীবীদের বাড়িভাড়া: সরকারি বাসায় বসবাসকারী কর্মচারীদের ভাড়ার হার বাড়ানো হবে।
আয়কর: নতুন পে-স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ৮,২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৬ হাজার টাকার বেশি হতে পারে। এতে সর্বনিম্ন বেতনধারীরাও আয়করের আওতায় আসবেন, যা সরকারের নতুন রাজস্ব উৎস হবে।
রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভারসাম্য রক্ষা: অর্থ বিভাগ মনে করছে, বেতন বাড়ানোর ফলে ব্যয় যেমন বাড়বে, তেমনি আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এতে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য রক্ষা ও রাজস্ব ব্যবস্থায় সম্প্রসারণ ঘটবে।
উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্য: বিভাগটির মতে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটাবে। এই প্রেক্ষাপটে দক্ষ মানবসম্পদ ধরে রাখা ও প্রশাসনে পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে একটি সময়োপযোগী, প্রতিযোগিতামূলক বেতন কাঠামো জরুরি হয়ে পড়েছে।
পে-কমিশনের অগ্রগতি: নতুন পে-কমিশন ইতোমধ্যে অনলাইন জরিপ ও বিভিন্ন সমিতির মতামত পর্যালোচনা করেছে। তারা আশাবাদী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করা সম্ভব হবে।
সরকার নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন ও রাজস্ব কাঠামোর আধুনিকায়ন—দুই দিকই সমানভাবে সামাল দিতে চাইছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর যে মাসে
- দ্বিগুণ উৎসব ভাতা, ৮০% বাড়ি ভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর হচ্ছে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে
- রেকর্ড দরপতনের পর সস্তা হলো সোনা দাম, আজ এক ভরি কত
- কমিশনে ১১-২০ গ্রেড; ৩২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব
- আবারও টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবিরা
- নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব: সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
- বাংলাদেশে বড় পতনের পর আজ সোনার ভরি কত
- সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: আরও একটি লম্বা ছুটি আসছে
- নতুন বেতন কাঠামো: বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও সুখবর
- রেকর্ড পতনের পর নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধস বিশ্ববাজারে সোনার দামে
- রেকর্ড পতনের পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
- শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না দেশের যেসব এলাকায়
