ত্বকের লক্ষণ দেখে বুঝুন আপনার লিভার বিপদে আছে কিনা!

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। যখন লিভার ঠিকমতো কাজ করে না, তখন এর প্রভাব সারা শরীরেই পড়তে শুরু করে। আধুনিক জীবনযাত্রার অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যেমন অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস এবং অপর্যাপ্ত শরীরচর্চা, অনেকের মধ্যে লিভার সংক্রান্ত সমস্যার জন্ম দেয়। ফ্যাটি লিভার এবং লিভার সিরোসিসের মতো জটিল রোগগুলো সময়মতো চিকিৎসা না পেলে লিভার পুরোপুরি বিকল হয়ে যেতে পারে।
তবে, আশার কথা হলো, লিভারের সমস্যা শুরু হওয়ার আগে শরীর কিছু সংকেত দেয়, যার মধ্যে ত্বকের পরিবর্তনগুলো বিশেষভাবে লক্ষণীয়। এই সংকেতগুলো সময়মতো চিনে নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিলে গুরুতর বিপদ এড়ানো সম্ভব।
ত্বকে যে লক্ষণগুলো লিভার সমস্যার ইঙ্গিত দেয়:
* ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া (জন্ডিস): লিভার যখন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তখন শরীরে বিলিরুবিন নামক একটি পদার্থ জমতে শুরু করে। এর ফলে ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে যায়, যা জন্ডিস নামে পরিচিত। এটি লিভারের গুরুতর সমস্যার স্পষ্ট ইঙ্গিত। এমন লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যাবশ্যক।
* ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া: লিভারের কার্যকারিতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমা হতে থাকে। এছাড়াও, পিত্তরস সঠিকভাবে নির্গত না হলে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। যদি এই সমস্যা বারবার বা দীর্ঘক্ষণ ধরে অনুভূত হয়, তবে তা লিভার সমস্যার একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
* ত্বকে ফুসকুড়ি বা লালচে দাগ: লিভার দুর্বল হলে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে, যার প্রভাব সরাসরি ত্বকে পড়ে। ছোট ফুসকুড়ি, ফোঁড়া বা লালচে দাগ দেখা দিতে পারে। যদি এই ধরনের ফুসকুড়ি সাধারণ চিকিৎসায় না সারে, তাহলে লিভার পরীক্ষা করানো জরুরি।
* মুখ ও চোখ ফুলে যাওয়া: লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমতে পারে, যার কারণে মুখ ও চোখ ফোলার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি মুখ বা চোখের চারপাশে ফোলা ভাব অনুভব করেন, তা লিভারের দুর্বলতার ইঙ্গিত হতে পারে।
লিভার সুস্থ রাখতে যা করবেন:
লিভারকে সুস্থ রাখতে কিছু সহজ নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি:
* সুষম ও পুষ্টিকর খাবার: আপনার খাদ্যতালিকায় ফল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখুন। এই খাবারগুলো লিভারকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
* পর্যাপ্ত পানি পান: প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
* ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার: ধূমপান এবং অ্যালকোহল লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই অভ্যাসগুলো সম্পূর্ণ পরিহার করা উচিত।
* নিয়মিত ব্যায়াম: হালকা যোগব্যায়াম, হাঁটাচলা বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যদি আপনার ত্বকে উপরোক্ত লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা যায়, তবে তা কখনোই উপেক্ষা করবেন না। সময়মতো চিকিৎসা নিলে গুরুতর অসুস্থতা এড়ানো সম্ভব এবং আপনার লিভারকে সুস্থ রাখা যাবে।
আপনার লিভারের স্বাস্থ্য নিয়ে কি কোনো উদ্বেগ আছে?
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাসায় পিঁপড়ে, জানুন আল্লাহর ৫টি গোপন বার্তা!
- ক্যানসারের যেসব প্রাথমিক সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করলেই বিপদ
- দুবাইতে চুরি: ৫ প্রবাসীর যাবজ্জীবন ভিসা বাতিল ও কারাদণ্ড
- সৌদি আরবে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণদের জন্য ৩০ দিনের বাড়তি সুযোগ!
- হাসিনাকে 'পুশ ইন' করার আহ্বান: কাল্পনিক চিত্র, রাজনৈতিক তোলপাড়
- দুই বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস: সারাদেশে বর্ষণ অব্যাহত থাকবে
- বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম কমলো: নতুন দর কার্যকর
- সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হয়নি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে গুজব
- টানা বৃদ্ধির পর কমলো সোনার দাম: প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১৫৭৪ টাকা হ্রাস
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেটের বড় লাফ
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- ভারতের চাপে ভেস্তে গেল আওয়ামী লীগের দিল্লি সম্মেলন
- অবিশ্বাস্য ঘটনা: সাপের কামড়ে শিশু নয়, শিশুর কামড়ে সাপের মৃত্যু!
- মালিকানা ছাড়াই বাইক চালাবেন যেভাবে – জানুন আইন