হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরে যেসব সংকেত দেয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা। যখন হৃদপিণ্ডের পেশিতে রক্ত চলাচল কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হয়, তখন হৃদপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই অবস্থাকে 'মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন' বলা হয়। এটি প্রায়শই আকস্মিকভাবে ঘটে থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রে এর পূর্বলক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। দুঃখজনকভাবে, অনেকেই এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেন না, যার ফলে পরিস্থিতি প্রাণঘাতী হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণসমূহ
মায়ো ক্লিনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসকরা হৃদরোগের কিছু সাধারণ লক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন:
* বুকে অস্বস্তি বা ব্যথা: বুকের মাঝখানে চাপ, ভারী লাগা, জ্বালাপোড়া বা তীব্র সংকোচনের অনুভূতি হতে পারে।
* শরীরের অন্য অংশে ব্যথা: ব্যথা ক্রমশ হাত (বিশেষ করে বাম হাত), পিঠ, গলা, চোয়াল বা পেটের উপরের অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
* শ্বাসকষ্ট: অনেক সময় বুকের ব্যথার পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট হতে পারে, আবার কখনো শুধু শ্বাসকষ্টই একমাত্র লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
* অন্যান্য লক্ষণ: অতিরিক্ত ঘাম, অস্বাভাবিক দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনও হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।
নারীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন উপসর্গ
পুরুষদের তুলনায় নারীদের হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলো প্রায়শই কম স্পষ্ট হয়। বুকের ব্যথা থাকলেও, নারীদের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো বেশি দেখা যেতে পারে:
* অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা অবসাদ
* পিঠ বা কাঁধে ব্যথা
* উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা
* পেটের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বা বমি ভাব
জরুরি প্রাথমিক পদক্ষেপ
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে:
* যদি চিকিৎসকের পূর্ব পরামর্শ থাকে, তাহলে অ্যাসপিরিন সেবন করানো যেতে পারে, যা রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* নাইট্রোগ্লিসারিন থাকলে তা সেবন করানো যেতে পারে, কারণ এটি হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
* যদি রোগী শ্বাস না নেয়, তাহলে অবিলম্বে সিপিআর (CPR) শুরু করুন। প্রশিক্ষণ না থাকলেও প্রতি মিনিটে ১০০-১২০ বার বুকের মাঝখানে চাপ দিন।
হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব:
* ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য সম্পূর্ণরূপে পরিহার করুন।
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
* লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।
* স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
* মানসিক চাপ কমান এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
* রক্তচাপ, সুগার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করান।
হার্ট অ্যাটাক যদিও আকস্মিক বলে মনে হয়, তবে আমাদের শরীর প্রায়শই এর পূর্বলক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক করে। তাই শরীরের অস্বাভাবিক উপসর্গগুলোকে কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়। সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রাই আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখার প্রধান চাবিকাঠি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ