ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় রাখতে গণ আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বের এক গর্বিত নাম। শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার, প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম, ও কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেলসহ বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ তিনটি পুরস্কারে ভূষিত সাত জনের একজন তিনি। এই তালিকায় আছেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলার মতো কিংবদন্তিরা।
২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া এই মহান ব্যক্তি পেয়েছেন ৬৬টি সম্মানসূচক ডিগ্রি, ৪০টির বেশি দেশের প্রায় ১৪৬টি পুরস্কার। তার নেতৃত্বে “থ্রি জিরো” আন্দোলন চলছে, যার লক্ষ্য দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দ্রুতই সার্বজনীন রূপ নেয়। তরুণ-যুবা, বৃদ্ধ, নারী—সবাই রাস্তায় নেমে আসে। এই আন্দোলনের ফসল ছিল ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, যার মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন এবং দেশ ছাড়েন। ৮ আগস্ট ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
একটি সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছিলেন, “আমি কি কুসন্তান যে দেশ ছেড়ে যাব? আমি এ দেশের সন্তান, এখানেই থাকবো।” তার এই দেশপ্রেম ও নৈতিকতা আজকের বাংলাদেশে বিরল এক দৃষ্টান্ত। তাই ঈদের আগে ও পরে দেশের নানা প্রান্তে উঠেছে একটাই দাবি—ড. ইউনূসকে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্ব দিন।
নতুন রাজনৈতিক দল "জাতীয় নাগরিক পার্টি"-এর মতো কিছু দল সরাসরি এই দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জনমতের প্রতিফলন ঘটছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও—হাজার হাজার মানুষ কমেন্টে, পোস্টে, পোল-এ একটাই কথা বলছে—“নির্বাচন নয়, ইউনূস স্যারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় চাই।”
বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। মানুষ বলছে—নির্বাচনের নামে যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের দিয়ে আর হবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন মন্তব্যও দেখা গেছে: "ইফতারের আগে নির্বাচন নয়", "বাঁচাতে হবে ড. ইউনূসের সরকারকে", "ড. ইউনূস থাকলে আমরা নিরাপদ"।
বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা ও জনগণের চাহিদা থেকে এটা স্পষ্ট—বাংলাদেশ নতুন এক মোড়ে দাঁড়িয়ে। অনেকে বলছেন, যদি প্রয়োজন হয়, তবে ২০২৫ সালের জুলাইয়েও আরেকটি গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ঠিক যেমনটি হয়েছিল ২০২৪-এ। মানুষ এখন উন্নয়ন চায়, নেতৃত্ব চায় এক শুদ্ধ মানুষের হাতে। তারা বলছে—৫৩ বছর রাজনীতি দেখেছি, এবার উন্নয়ন দেখতে চাই।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই অন্তর্বর্তী সরকার মানুষের কাছে আশার প্রতীক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সত্যিই বদলাতে পারে—দারিদ্র্য, দুর্নীতি আর বৈষম্যের ঊর্ধ্বে উঠে। তাই জনতার কণ্ঠে আজ একটাই ধ্বনি—"নির্বাচন নয়, ড. ইউনূসকে পাঁচ বছর চাই!"
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে ২০ গ্রেডের জন্য নতুন বেতন স্কেল প্রকাশ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর যে মাসে
- দ্বিগুণ উৎসব ভাতা, ৮০% বাড়ি ভাড়া ও ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর হচ্ছে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে
- কমিশনে ১১-২০ গ্রেড; ৩২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন বেতনের প্রস্তাব
- রেকর্ড দরপতনের পর সস্তা হলো সোনা দাম, আজ এক ভরি কত
- নতুন বেতন কাঠামো প্রস্তাব: সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার
- স্বর্ণের দামের ১২ বছরে সবচেয়ে বড় পতন
- বাংলাদেশে বড় পতনের পর আজ সোনার ভরি কত
- সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ ২০ হাজার, সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: আরও একটি লম্বা ছুটি আসছে
- নতুন বেতন কাঠামো: বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্যও সুখবর
- রেকর্ড পতনের পর নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- আবারও টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবিরা
- ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধস বিশ্ববাজারে সোনার দামে
