লন্ডন বৈঠক নিয়ে কী বলছে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি
 
								নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতির নজর ছিল লন্ডনের দিকে। বহুল প্রতীক্ষিত এক বৈঠকে মুখোমুখি হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। এই বৈঠক ঘিরেই তৈরি হয়েছিল নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে তা ফলপ্রসূ হওয়ায় বিএনপির মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে।
বৈঠকে তারেক রহমানের অনুরোধে ড. ইউনুস আগামী নির্বাচনের বিষয়ে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, রমজানের আগেই, অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারিতেও নির্বাচন আয়োজন সম্ভব—যদি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়। এই বক্তব্যেই বিএনপি নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে অভিনন্দন আর শুভেচ্ছার ঢল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই বৈঠক জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তাঁর মতে, দীর্ঘ অনিশ্চয়তার পর এই আলোচনা প্রমাণ করে যে সংকটের মধ্যেও মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। তিনি অতীত ভুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং জানান, এখন দল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণতান্ত্রিক প্রস্তুতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে এই বৈঠক নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, বিদেশে বসে নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করা শহীদদের আত্মত্যাগের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনার মাধ্যমে নয়।
নাসিরউদ্দিন আরও বলেন, যদি সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়, তাহলে এনসিপি দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের দিকে যেতে বাধ্য হবে। এমনকি সেই ব্যর্থতা থাকলে এনসিপি কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণও করবে না।
এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেছেন, বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত না করে যদি হঠাৎ করে নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে তা বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে না। তিনি বলেন, এমন রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে হবে যেখানে কেউই ফ্যাসিবাদী আচরণ করার সুযোগ না পায়। তার মতে, শুধু নির্বাচন নয়, আগে প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার।
এই বৈঠকের পর রাজনীতিতে আপাত স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বিএনপির সন্তুষ্টি থাকায় রাজপথ উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। সচেতন মহলের মতে, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের পাশে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে মনোনিবেশ করা।
হাবিব/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- দেশের বাজারে লাফিয়ে ২৪ হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- নতুন বেতন কাঠামোতে বড় সুখবর পাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীরা
- পে-স্কেলের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব
- নতুন পে স্কেলে বৈষম্য রোধে ‘গ্রেড’ কমছে; একমত পে কমিশন

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    