| ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতকে নিয়ে রাশিয়ার যে সতর্কবার্তাকে পাত্তা দেয়নি শেখ হাসিনা

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ জানুয়ারি ২১ ১৬:০১:২১
ভারতকে নিয়ে রাশিয়ার যে সতর্কবার্তাকে পাত্তা দেয়নি শেখ হাসিনা

২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাশিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রকাশ করে, যেখানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারখারোভা সতর্ক করে বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

রাশিয়ার এই সতর্কবার্তা, যেখানে শেখ হাসিনা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে, তা শেখ হাসিনা ও ভারতের কাছে বিশেষভাবে উপেক্ষিত হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় ভুল হতে পারে। রাশিয়া যখন সতর্ক করছিল, তখন ভারত এবং বাংলাদেশ সরকার উভয়েই এ বার্তাকে গুরুত্ব দেয়নি, যার ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

রাশিয়ার বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে, ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারের বিরোধীরা সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে, বাসে আগুন দেয় এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সব ঘটনায় পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনের উস্কানির প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ভূমিকা ছিল সন্দেহজনক। রুশ কূটনীতিকরা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি পশ্চিমা দেশের চাপ বাড়ানো হতে পারে এবং এমন পরিস্থিতি তৈরী হলে আরব বসন্তের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে।

তবে, রাশিয়ার এই সতর্কবার্তাকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সরকারির অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে উদাসীনতা রাশিয়ার বার্তাকে অগ্রাহ্য করতে প্ররোচিত করেছে। বিশেষত, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মাধ্যমে, রাশিয়ার বার্তা ছিল বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত।

এছাড়া, সোভিয়েত এলাম অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. শামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন যে, রাশিয়ার বার্তার প্রতি সরকারের অবহেলার কারণে, কোটা বিরোধী আন্দোলন ও ছাত্রদের আন্দোলনের মতো বিষয়গুলোর সঠিক সমাধান করা হয়নি। সরকারের কঠোর নীতি জনগণের আস্থা হারাতে সহায়তা করেছে, যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেয়।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈরিতার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে, যদিও রাশিয়ার এই সতর্কবার্তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাকতালীয় মনে হয়েছে।

ঢাকায় রুশ দূতাবাস অবশ্য এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। সব মিলিয়ে, রাশিয়ার সতর্কবার্তাকে উপেক্ষা করার ফলস্বরূপ বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সামাজিক উত্তেজনা বাড়ে, যা দেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

শান্ত বাদ, চমক নিয়ে নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা

শান্ত বাদ, চমক নিয়ে নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রায় নয় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এবার পূর্ণাঙ্গ নেতৃত্বের স্বাদ পেলেন মেহেদী হাসান ...

১১ জনের মৃত্যুর জন্য গ্রেপ্তার হতে পারেন ভিরাট কোহলি

১১ জনের মৃত্যুর জন্য গ্রেপ্তার হতে পারেন ভিরাট কোহলি

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে কেন্দ্র করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) উদযাপন শেষ পর্যন্ত রূপ নিয়েছে ট্র্যাজেডিতে। ...

ফুটবল

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে ঠিক এক বছর পর শুরু হবে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের ...

আর্জেন্টিনার ড্র, ব্রাজিলের জয় উল্টে গেল পয়েন্ট টেবিল

আর্জেন্টিনার ড্র, ব্রাজিলের জয় উল্টে গেল পয়েন্ট টেবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক; ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব এখন রীতিমতো রোমাঞ্চকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। ...