শুরু হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন যেসব দেশের ভিসা আবেদন

ঢাকা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভিসা আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে। ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড, গ্রিসসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি, পর্তুগালের মতো কিছু দেশের ভিসা প্রক্রিয়া চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও রেমিট্যান্স প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সরকারি উদ্যোগের আওতায় একসাথে ১৯টি ইউরোপীয় দূতাবাস বাংলাদেশে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে, ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড এবং গ্রিসের জন্য ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে, আর এসব আবেদন বিএফএস (VFS Global) এর মাধ্যমে জমা নেওয়া হচ্ছে।
গ্রিসের ক্ষেত্রে ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়া কিছুটা ধীর গতির হলেও, পোল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার ভিসা আবেদন দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শিগগিরই চালু হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
পর্তুগালে বাংলাদেশের অন্তত ৫০,০০০ কর্মী কাজ করতে পারবেন। কৃষি, ডেইরি ফার্ম, হোটেল খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে এই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যদি সরকারের উদ্যোগে পর্তুগালের ভিসা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী সেখানে কাজের সুযোগ পাবেন।
এছাড়া, গ্রিসেও মৌসুমি ভিসার মাধ্যমে কর্মী পাঠানোর সুযোগ রয়েছে, তবে সেখানে ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতির কারণে অনেক কর্মী নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায়, তবে গ্রিসেও বড় পরিসরে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই ভিসা প্রক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস এবং পর্তুগালে যেতে পারবেন। এর ফলে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এক লাখ বাংলাদেশি কর্মী ইউরোপে পাঠানো যায়, তবে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে একটি বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
ইউরোপে কর্মী পাঠানোর প্রধান চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি এবং আবেদন জমার সময়সূচির সংকট। বিশেষত, গ্রিসে মৌসুমি ভিসার ক্ষেত্রে কর্মীরা সময়মতো আবেদন জমা দিতে না পারায় নির্ধারিত সময়ে যেতে পারছেন না।
সরকারের উচিত, দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য দূতাবাসগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা। এছাড়া, বিএফএস এর কার্যক্রম আরও দ্রুত এবং কার্যকর করা, এবং প্রয়োজনীয় কর্মী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া।
ইউরোপে ভিসা প্রক্রিয়া চালুর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ইনশাআল্লাহ, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স উভয় ক্ষেত্রেই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ