উ'স্কা'নি দিয়ে কী পেতে চাইছে মোদি, বাংলাদেশ নিয়ে গো'প'ন পরিকল্পনা!
ভারতের বিজেপি সমর্থিত গণমাধ্যমগুলি বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ধরনের প্রোপাগান্ডা প্রচার করছে, তাতে মনে হতে পারে গোটা দেশ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার শঙ্কায় রয়েছে। এসব মিডিয়ায় হিন্দু মৃতদেহে রাজধানী ঢাকা ভরে যাওয়ার বা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে হিন্দু নিপীড়নের মত বানোয়াট খবর ছড়িয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। তবে, এসব তথ্য যুদ্ধের মাধ্যমে আসলে ভারত কি উদ্দেশ্য সাধন করতে চায়? মোদির বিজেপি কেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে রাজনীতি করছে?
বিজেপি পন্থী গণমাধ্যম এবং কিছু প্রতিষ্ঠিত চ্যানেল যেভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, তা থেকে স্পষ্ট যে, তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগলিক অখণ্ডতার মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির ইমেজ ক্ষুন্ন করা। এ ধরনের প্রচারণা শুধু ভয়াবহ সামাজিক উত্তেজনা তৈরি করছে না, বরং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোপন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব প্রচারিত খবরকে দেখা হচ্ছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলের এই মনোভাব বাংলাদেশের জন্য বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এসব প্রচারণা কেবলমাত্র ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আক্রমণ নয়, বরং বাংলাদেশের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসন্তোষ এবং সন্দেহ তৈরি করার প্রচেষ্টা।
ভারতের গণমাধ্যম এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসলেও, বাস্তবতা হচ্ছে, এসব বিবৃতি এবং সমালোচনা কখনোই কার্যকর হবে না। দিল্লির এক শীর্ষস্থানীয় স্ট্র্যাটেজিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সিনিয়র ফেলো ড. পট্টনায়ক জানান, মিডিয়াতে শুধু সমালোচনা করে পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয়, বরং এ ধরনের বিতর্ক আরও পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে।
গত কয়েক মাসে ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের দুর্দশা নিয়ে একতরফা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা প্রমাণ ছাড়াই বাংলাদেশের উপর আক্রমণ করছে। এসব খবর মূলত মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত হলেও, ভারতের সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা এবং সন্দেহ বাড়ছে, যা পরবর্তীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে।
এখন সময় এসেছে, বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশের সরকারকে এই ধরনের প্রোপাগান্ডা মোকাবেলা করতে এবং তথ্য যুদ্ধের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে। তা না হলে, আগামীতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নবম পে-স্কেল আসছে ৩ ধাপে, বেতন পাবেন জানুয়ারি ২০২৬ থেকে
- ৭০ সচিবের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত হলো নবম পে-স্কেলের রূপরেখা
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ল সর্বোচ্চ ৭,৮০০ টাকা, সর্বনিম্ন ৪,০০০: মহার্ঘ ভাতায় বড় পরিবর্তন
- পে স্কেল: ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশ! যে গ্রেড ভাঙছে কমিশন
- নবম পে স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরে: শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ছে কত
- আল্টিমেটামের শেষ দিন আজ: পে-স্কেল রিপোর্ট জমা নিয়ে যা জানা গেলো
- নবম পে স্কেলে ৩-৪ গুন বেতন বৃদ্ধি না করার প্রস্তাব
- নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা
- পে-স্কেলের সুপারিশ নিয়ে ৭০ সচিবের মতামত চুড়ান্ত: পে কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ
- যেসব খাবার খেলে পুরুষের শুক্রাণু কমে, তালিকা দেখুন
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, বাংলাদেশ বনাম চীনের ম্যাচ
- পে স্কেলের সুপারিশ নিয়ে কমিশনের সর্বশেষ পদক্ষেপ যা জানা গেল
- নবম পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: সর্বনিম্ন বেতন ও গ্রেড নিয়ে যা জানা গেলো
- নতুন পে স্কেল: যে মতামত দিলেন ৭০ সচিব
