লিটন দাসের শেষ টি-টুয়েন্টিতে হঠাৎ ঝলসে ওঠার কাহিনি
উপর্যুপরি কয়েকটি ম্যাচে একেবারেই ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না লিটন দাস। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর লিটন জানালেন তার ছন্দে ফেরার রহস্য।
ম্যাচ শুরুর খানিকক্ষণ আগে সকাল বেলার ৫-৭ মিনিটের নকিংই (ছন্দ ধরে রাখতে ব্যাট হাতে ব্যাটার যখন কাছ থেকে বোলারদের খেলে) বদলে দিয়েছে লিটনের আত্মবিশ্বাস। ফলে রানের দেখা পেয়েছেন এই সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
ইংল্যান্ড-বাংলাদেশ সিরিজের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২৮ বছর বয়সী এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান পুরোপুরি অফ ফর্ম ছিলেন। তিন ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচে ৭ রান করলেও পরের দুটিতে বোল্ড হন।
টি-২০ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচেও ছন্দে ফিরতে পারেননি লিটন। প্রথম ম্যাচে ১২ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য, ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
শেষ টি-টুয়েন্টিতে হঠাৎ ঝলসে ওঠার কাহিনি উদঘাটন করলেন লিটন, “গত কয়েকদিন যখন আমি নক করছিলাম, তখন আমি আত্মবিশ্বাস পাচ্ছিলাম না। আজ যখন আমি ম্যাচের আগে নক করলাম, আমি লক্ষ্য করলাম যে আমার ভাল জ্ঞান কাজ করছে, আকার থেকে শুরু করে। ভালো অনুভূতি একজন ব্যাটসম্যানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় সেই অনুভূতির কারণে আমার আত্মবিশ্বাস বেশি ছিল।
‘যখন একটা ক্রিকেটারের আত্মবিশ্বাস ভালো থাকবে তখন আপনি বল ভালো দেখবেন। আমার কাছে মনে হয় এতোদিন যত অনুশীলন করেছি, নকিং করেছি...তার চেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে আজকে সকালে ৫-৭ মিনিট নকিং করে। নকিং করে আসলে খুব বড় কিছু হয়ে যায় না। তবে আমার মনে হয়, আমি ওখান থেকে অনেক বড় কিছু পেয়েছি।’
ওয়ানডে সিরিজে বেশ খারাপ করার কারণও জানিয়েছেন লিটন। বিপিএলে একটানা টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে থাকায় হুট করে ওয়ানডে ফরম্যাটে এসে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে তার। এ কারণে গত পাঁচ ইনিংসে প্রত্যাশামতো খেলতে পারেননি লিটন।
এমনকি ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগেও নেট অনুশীলনে তেমন স্বাচ্ছন্দ্যে দেখা যায়নি লিটনকে। তার ডিফেন্সের ধরন থেকে শুরু করে অনেককিছু নিয়েই তার সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। এমনকি ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সও বেশ ব্যস্ত ছিলেন লিটনকে নিয়ে।
লিটন দাস বলেন, ‘দেখেন এটা বললে অন্য কিছু মনে হতে পারে। আমি শেষ যে বিপিএল খেলেছি সেখানে একটানা ১২-১৪ টা (১৩ ইনিংস) ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলেছি। তো এতগুলো ম্যাচ খেলার কারণে আমার ব্যাটিংয়ের শেপ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেটার প্রভাব পড়েছে ওয়ানডেতে। আমি যে জিনিসগুলো অনুসরণ করে আসছিলাম শেষ দেড়-দুই বছর.. আমি চেষ্টা করছিলাম কিন্তু বুঝে উঠতে পারিনি সে জিনিসগুলো। শেষ দুই ম্যাচেও আমি যেভাবে খেলি বা অনুশীলন করি.. কিছুই মেলাতে পারছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যাপার থাকে ব্যাটিংয়ে, এক এক জনের এক একটা ফিল থাকে। কেউ একটা পুল শট মেরে, কেউ একটা কাভার ড্রাইভ মেরে সেই ফিলটা পায়। আজকে যখন আমি নকিং করছিলাম আমার ফিলটা ভালো কাজ করেছে। আমি অনুভব করেছি আমার পায়ের পজিশন। আমার মূল জিনিস হচ্ছে ট্রিগার। এটা ঠিক থাকলে আমি যেকোনো বোলারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। এই একই জিনিসটাই আমি ফাইন্ড আউট করতে পারি নাই শেষ পাঁচটা ম্যাচে।’
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল নিয়ে সর্বশেষ সুখবর যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে সবশেষ ঘোষণা: যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে উত্তেজনা: সবশেষ পরিস্থিতি কি?
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- ওসমান হাদির সবশেষ অবস্থা জানালেন চিকিৎসক
- ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ : সিসিটিভি ফুটেজে যা মিললো
- হাদির ওপর হামলা কারছে কে, জানালেন আইজিপি
- জানা গেল হাদির ওপর হামলাকারীকে নিয়ে আঁতকে ওঠার মতো তথ্য
- ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ: যা জানা গেলো
- আসছে ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ, কাঁপবে যেসব জেলা
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ৩৬ বাংলাদেশি পেলেন ভারতের নাগরিকত্ব: তালিকায় আছেন যারা
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- আজকের সকল টাকার রেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরতে হবে তারেক রহমানকে
