
আশা ইসলাম
রিপোর্টার
সত্যিই কি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) স্বপ্নে দেখা যায়

রাতের গভীরে আমরা কত শত স্বপ্ন দেখি—কোনোটা মনকে আনন্দ দেয়, আবার কোনোটা বা জাগায় ভয়। কিন্তু কিছু স্বপ্ন আছে, যা অন্য সবকিছুর চেয়ে আলাদা। বিশেষত, যখন আমরা এমন কাউকে দেখি, যিনি ১৪০০ বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন, তখন প্রশ্ন জাগে, সত্যিই কি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দিদার স্বপ্নে লাভ করা সম্ভব
বাস্তবে আমরা কেউ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখিনি, তবুও অনেকেই স্বপ্নে তাঁকে দেখার দাবি করেন। এই দাবি কতটা সত্য, এর পেছনে কোনো বিশেষ আমল আছে কি না, আর এমন সৌভাগ্য লাভ করলে তার ফজিলত কী—আজ আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানব।
হাদিসের আলোকে নবীজির স্বপ্নে দিদার
আমরা নবীজির শেষ জামানার উম্মত। যদিও তিনি বহুকাল আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তবুও প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে সুপ্ত বাসনা থাকে—বাস্তবে না হোক, অন্তত স্বপ্নে তাঁকে একবার দেখা।
নবী-প্রেমিক উম্মতের এই বাসনা বাস্তবে পূরণ হতে পারে। কারণ, সহীহ হাদিসের মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে মহানবী (সাঃ)-কে স্বপ্নে দেখা মানে তাঁকে সত্যিই দেখা।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন: "যে আমাকে স্বপ্নে দেখল, শিগগির সে আমাকে জাগরণে দেখবে অথবা সে যেন আমাকে জাগরণে দেখল। আর শয়তান আমার রূপ ধরতে পারে না।"
এই হাদিস থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিষ্কার হয়:
১. রাসূল (সাঃ)-কে স্বপ্নে দেখা সম্ভব: এটি মুমিনের গভীর বিশ্বাসের একটি প্রতিফলন।
২. শয়তান বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে না: শয়তান কখনোই মহানবী (সাঃ)-এর রূপ ধারণ করতে পারে না, ফলে স্বপ্নে যাকে দেখা যায়, তিনিই প্রকৃত রাসূল (সাঃ)।
৩. জাগরণেও আলোকিত প্রভাব: এই অভিজ্ঞতা শুধু ঘুমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না; এটি জাগরণের জীবনেও এক দারুণ আত্মিক প্রেরণা যোগায়।
অন্য একটি হাদিসেও একই বিষয় এসেছে: "যে আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায়ই দেখল।" এটি নির্দেশ করে, স্বপ্নে তাঁর উপস্থিতি মানে রাসূল (সাঃ)-এর সত্যিকারের উপস্থিতি।
কারা এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন
নবীজিকে স্বপ্নে দেখা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয়। নবী প্রেমিকদের কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কারা এই সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেন
ইসলামিক স্কলারদের মতে, এটি কেবল সেই ব্যক্তিরাই অর্জন করতে পারেন, যাদের অন্তরে রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি গভীরতম ভালোবাসা আছে, যারা তাঁর প্রতিটি সুন্নাতকে গুরুত্ব দিয়ে অনুসরণ করেন এবং তাঁর সাক্ষাতের জন্য সবসময় প্রতীক্ষায় থাকেন।
এর অর্থ হলো, পূর্ণ ইসলাম পালনকারী এবং সুন্নতের অনুসারীরাই কেবল এই সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন। বেইমান বা মিথ্যাচারীরা নবী করীম (সাঃ)-কে দেখার দাবি করলে তা অবশ্যই মিথ্যা হবে।
স্বপ্নে নবীজিকে দেখার বিশেষ আমল
কুরআন বা হাদিসের কোথাও নির্দিষ্ট কোনো আমলের কথা বলা হয়নি, যা করলে নিশ্চিতভাবে নবীজিকে স্বপ্নে দেখা যায়। তবে অভিজ্ঞ আলেম ও ইসলামিক স্কলারদের মতে, এই সৌভাগ্য লাভের জন্য কিছু বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে:
১. অধিক ভালোবাসা: অন্তরে রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি অগাধ ও গভীরতম ভালোবাসা পোষণ করা।
২. সুন্নতের অনুসরণ: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর সুন্নতের পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটানো।
৩. বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ: বেশি বেশি দরুদ শরীফ পাঠ করা। আলেমগণ বলেন, যারা নিয়মিত অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করেন, তারা যেমন পরকালে তাঁর সুপারিশ লাভ করবেন, তেমনি দুনিয়াতেও তাঁকে দেখার সৌভাগ্য লাভ করতে পারেন।
বিশেষ করে, যদি কেউ প্রতি রাতে শোবার সময় অজু করে পাক-পবিত্র অবস্থায় দরুদ শরীফ পাঠ করতে করতে নিদ্রা যান, তবে আশা করা যায়, ইনশাআল্লাহ স্বপ্নে রাসূল (সাঃ)-এর জিয়ারত লাভের সৌভাগ্য হতে পারে।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি দরুদ শরীফের আমল করে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখার তৌফিক দান করুন।
আশা ইসলাম/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে সরকারি বেতন কত বাড়ছে: যা জানা গেল
- নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান
- ৮-৯ অক্টোবর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি: যা জানা গেলো
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর মার্চে: বাড়ছে বেতন অনুপাত ও ভাতা
- শনিবার সারা দিন বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে যেসব জেলায়
- আজ বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- বাজারে আসছে নতুন MVNO সিম: অবাক করা অফার
- আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- নতুন পে-স্কেলে বেতন বাড়বে যে হারে: মার্চ-এপ্রিলেই কার্যকর
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান: আজকের একাদশে চমক
- চলছে বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ: সরাসরি দেখুন
- নতুন পে-স্কেল কার্যকর কবে, জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তনা ম্যাচ: সরাসরি দেখুন