কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন পাঠক জানতে চেয়েছেন—গর্ভে তিন মাস হওয়ার আগেই যদি কেউ গর্ভপাত করায়, তাহলে সে গুনাহগার হবে কি না? ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে গর্ভপাত সাধারণভাবে অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত। তবে যদি গর্ভে সন্তানের প্রাণ সঞ্চার (হার্টবিট) শুরু না হয় এবং গর্ভপাতের পেছনে মা'র জীবনহানির মতো জরুরি শরয়ি ওজর থাকে, তাহলে বিশেষ ক্ষেত্রে এটি বৈধ হতে পারে।
আরেকজন প্রশ্ন করেছেন—ঋণ নেওয়ার পর ঋণদাতার সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব না হলে করণীয় কী? ইসলামী বিধান অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে সেই অর্থ গরিব ও অভাবীদের মাঝে সদকা করে দেওয়া যেতে পারে, যার সওয়াব সেই ঋণদাতার পক্ষেই বরাদ্দ হবে।
নারীদের জন্য মাসিক চলাকালীন সময়ে নখে নেইলপলিশ লাগানো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে—এ সময় নামাজ ফরজ না থাকায় নেইলপলিশ ব্যবহার করা বৈধ। তবে পবিত্র হওয়ার পর নামাজের আগে নেইলপলিশ তুলে ফেলা এবং পূর্ণভাবে ওজু করাই শরয়ি বিধান।
নামাজে যদি ছোট শিশু সিজদার স্থানে বসে যায়, তাহলে এক পাশে সরে সিজদা করা বা আলতো করে শিশুকে সরিয়ে সিজদা দেওয়া বৈধ, এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে ছোট ছোট মিথ্যা বলা যাবে কি না? ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, মিথ্যা বলা সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। তবে বিবাদ মেটানোর উদ্দেশ্যে, উভয়ের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক কথা বলা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অনুমোদিত। কিন্তু তা ছাড়া পারিবারিক শান্তির নামে মিথ্যার অনুমোদন নেই।
ফরজ নামাজ শেষে বৈঠকে দুরুদ পড়ার আগেই ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেললে করণীয় কী? সে ক্ষেত্রে মুসল্লি দ্রুততার সঙ্গে দুরুদ শেষ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে পারেন। অর্থপূর্ণ দুরুদ বা দোয়ার পর সালাম ফিরানো যথেষ্ট বলে অভিজ্ঞ আলেমরা মত দেন।
কেউ কেউ জানতে চান—নামাজে নিজের অজান্তে দুশ্চিন্তা আসলে নামাজ ভঙ্গ হয় কি না? শরিয়ত বলছে, অনিচ্ছাকৃত চিন্তা গুনাহের বিষয় নয়। তবে চিন্তাকে ধরে রাখা বা তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ভাবা হলে খুশু-খুজুর নষ্ট হয়, যা নামাজের সৌন্দর্যহানি ঘটায়।
আবার কেউ লিখেছেন—ভাতিজা তাকে ‘ছোট আব্বু’ ডাকে, এতে কোনো সমস্যা হবে কি না? এর উত্তর হলো—আমাদের সমাজে ‘ছোট আব্বু’ বা ‘ছোট বাবা’ বলা রূপক অর্থে হয়ে থাকে, যা কোনো শরয়ি বাধা তৈরি করে না।
বয়সে বড় মামাতো বোনকে বিয়ে করা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। শরীয়ত অনুযায়ী, বয়সে বড় হলেও বিবাহের অনুমতি আছে। মহানবী (সা.)-ও তাঁর চেয়ে বড় খাদিজা (রা.)-কে বিয়ে করেছিলেন।
শেষে কেউ জানতে চেয়েছেন—হারাম সম্পর্ক থেকে বিবাহে গেলে সংসারে শান্তি আসবে কি? এর জবাবে বলা হয়েছে, অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, দাম্পত্য জীবনে ধৈর্য ও সহনশীলতা চর্চা করা এবং নিয়মিত দোয়া ও ইবাদত করা—এই উপায়েই শান্তি লাভ করা সম্ভব।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে যেদিন
- নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত, নতুন বিতর্ক শুরু
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- এবার ইরানের ওপর শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- ভয়াবহ সুনামির শঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- ওবামার ভবিষ্যত বাণীই কি সত্য হবার পথে, টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ভারত