| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না

২০২৫ জুলাই ১০ ১৪:৪৯:০২
কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন পাঠক জানতে চেয়েছেন—গর্ভে তিন মাস হওয়ার আগেই যদি কেউ গর্ভপাত করায়, তাহলে সে গুনাহগার হবে কি না? ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে গর্ভপাত সাধারণভাবে অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত। তবে যদি গর্ভে সন্তানের প্রাণ সঞ্চার (হার্টবিট) শুরু না হয় এবং গর্ভপাতের পেছনে মা'র জীবনহানির মতো জরুরি শরয়ি ওজর থাকে, তাহলে বিশেষ ক্ষেত্রে এটি বৈধ হতে পারে।

আরেকজন প্রশ্ন করেছেন—ঋণ নেওয়ার পর ঋণদাতার সঙ্গে আর যোগাযোগ সম্ভব না হলে করণীয় কী? ইসলামী বিধান অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে সেই অর্থ গরিব ও অভাবীদের মাঝে সদকা করে দেওয়া যেতে পারে, যার সওয়াব সেই ঋণদাতার পক্ষেই বরাদ্দ হবে।

নারীদের জন্য মাসিক চলাকালীন সময়ে নখে নেইলপলিশ লাগানো প্রসঙ্গে বলা হয়েছে—এ সময় নামাজ ফরজ না থাকায় নেইলপলিশ ব্যবহার করা বৈধ। তবে পবিত্র হওয়ার পর নামাজের আগে নেইলপলিশ তুলে ফেলা এবং পূর্ণভাবে ওজু করাই শরয়ি বিধান।

নামাজে যদি ছোট শিশু সিজদার স্থানে বসে যায়, তাহলে এক পাশে সরে সিজদা করা বা আলতো করে শিশুকে সরিয়ে সিজদা দেওয়া বৈধ, এতে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না।

অনেকেই প্রশ্ন করেন, পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে ছোট ছোট মিথ্যা বলা যাবে কি না? ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, মিথ্যা বলা সর্বাবস্থায় নিষিদ্ধ। তবে বিবাদ মেটানোর উদ্দেশ্যে, উভয়ের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ইতিবাচক কথা বলা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অনুমোদিত। কিন্তু তা ছাড়া পারিবারিক শান্তির নামে মিথ্যার অনুমোদন নেই।

ফরজ নামাজ শেষে বৈঠকে দুরুদ পড়ার আগেই ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেললে করণীয় কী? সে ক্ষেত্রে মুসল্লি দ্রুততার সঙ্গে দুরুদ শেষ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে পারেন। অর্থপূর্ণ দুরুদ বা দোয়ার পর সালাম ফিরানো যথেষ্ট বলে অভিজ্ঞ আলেমরা মত দেন।

কেউ কেউ জানতে চান—নামাজে নিজের অজান্তে দুশ্চিন্তা আসলে নামাজ ভঙ্গ হয় কি না? শরিয়ত বলছে, অনিচ্ছাকৃত চিন্তা গুনাহের বিষয় নয়। তবে চিন্তাকে ধরে রাখা বা তা নিয়ে দীর্ঘ সময় ভাবা হলে খুশু-খুজুর নষ্ট হয়, যা নামাজের সৌন্দর্যহানি ঘটায়।

আবার কেউ লিখেছেন—ভাতিজা তাকে ‘ছোট আব্বু’ ডাকে, এতে কোনো সমস্যা হবে কি না? এর উত্তর হলো—আমাদের সমাজে ‘ছোট আব্বু’ বা ‘ছোট বাবা’ বলা রূপক অর্থে হয়ে থাকে, যা কোনো শরয়ি বাধা তৈরি করে না।

বয়সে বড় মামাতো বোনকে বিয়ে করা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। শরীয়ত অনুযায়ী, বয়সে বড় হলেও বিবাহের অনুমতি আছে। মহানবী (সা.)-ও তাঁর চেয়ে বড় খাদিজা (রা.)-কে বিয়ে করেছিলেন।

শেষে কেউ জানতে চেয়েছেন—হারাম সম্পর্ক থেকে বিবাহে গেলে সংসারে শান্তি আসবে কি? এর জবাবে বলা হয়েছে, অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া, দাম্পত্য জীবনে ধৈর্য ও সহনশীলতা চর্চা করা এবং নিয়মিত দোয়া ও ইবাদত করা—এই উপায়েই শান্তি লাভ করা সম্ভব।

আশা/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

অবিশ্বাস্য ভাবে শেষ হল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ম্যাচ

অবিশ্বাস্য ভাবে শেষ হল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ম্যাচ

নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল ...

এক চমক নিয়ে টি-টোয়েন্টির জন্য শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তিশালী দল ঘোষণা

এক চমক নিয়ে টি-টোয়েন্টির জন্য শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের শক্তিশালী দল ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়ানডে সিরিজ শেষে এবার টি-টোয়েন্টি লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের ...

ফুটবল

বাংলাদেশ তুর্কি জোট, আধিপত্য হারাচ্ছে ভারত

বাংলাদেশ তুর্কি জোট, আধিপত্য হারাচ্ছে ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার ভারত সফরের পর থেকেই দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ। ...

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনীতির আঁচ এবার ছড়িয়ে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ...