সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
কি ভাবে লন্ডনে নির্বাসনে যান তারেক রহমান
তারেক রহমানের নির্বাসন থেকে প্রত্যাবর্তন: ফিরে দেখা ২০০৭-২০০৮ এর সেই উত্তাল দিনগুলো
নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাস জীবন শেষে দেশের মাটিতে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বর্তমানের এই আনন্দঘন মুহূর্তের পেছনে মিশে আছে ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী এক কালো অধ্যায়। কীভাবে তিনি গ্রেফতার হলেন এবং কোন পরিস্থিতিতে লন্ডনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তা বাংলাদেশের রাজনীতির এক নাটকীয় ইতিহাস।
গ্রেফতার ও রিমান্ডের দুঃসহ স্মৃতি
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়ান ইলেভেনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক সংস্কারের নামে রাজনীতিবিদদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে তার মঈনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে হাজির করার দৃশ্য সে সময় দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছিল। রিমান্ডে থাকাকালীন তার ওপর অমানসিক শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নিজেও উল্লেখ করেছেন যে, সেই সময় তাকে দীর্ঘক্ষণ চোখ ও হাত বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে নির্যাতন করা হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার আপসহীন অবস্থান ও সমঝোতার গুঞ্জন
তারেক রহমানের গ্রেফতারের প্রায় ছয় মাস পর গ্রেফতার হন খালেদা জিয়াও। তৎকালীন সরকার চেয়েছিল খালেদা জিয়া তার দুই ছেলেকে নিয়ে দেশত্যাগ করবেন। কিন্তু খালেদা জিয়া দেশেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে সরকার যখন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসে, তখন খালেদা জিয়ার একমাত্র শর্ত ছিল তার দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর মুক্তি এবং তাদের বিদেশে সুচিকিৎসা। সেনা কর্মকর্তাদের চাপে নতি স্বীকার না করে তিনি দুই ছেলের মুক্তির বিষয়ে অনড় থাকেন।
লন্ডন যাত্রা ও নির্বাসিত জীবন
১৮ মাস কারাবাসের পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ১৩টি মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পান তারেক রহমান। সে সময় তিনি এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারছিলেন না। মুক্তির মাত্র ৮ দিনের মাথায় ১১ সেপ্টেম্বর সপরিবারে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি লন্ডনের পথে ঢাকা ছাড়েন। ওই দিনই মুক্তি পান খালেদা জিয়া। তারেক রহমানের দেশ ছাড়ার পেছনে তখন অনেক রাজনৈতিক সমঝোতার গুঞ্জন শোনা গেলেও তার কোনো আনুষ্ঠানিক সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে ২০১২ সালে ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন তিনি এবং সেখান থেকেই দীর্ঘ সময় দলের হাল ধরেন।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান
২০০৮ থেকে ২০২৫—এই দীর্ঘ ১৭ বছর তারেক রহমান নির্বাসিত ছিলেন। সুদূর লন্ডন থেকেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তিনি বিএনপিকে সুসংগঠিত রেখেছেন। আজ তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কেবল একটি দলের রাজনৈতিক জয় নয়, বরং এটি তার সমর্থকদের কাছে এক বিশাল আবেগ ও প্রত্যাশার প্রতীক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন নেতার প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে এমন গণজাগরণ সত্যিই নজিরবিহীন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে-স্কেল ২০২৬ কার্যকর হচ্ছে: কোন গ্রেডে কত বেতন বাড়ছে
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত রিপোর্ট: ২০ গ্রেড কমে হচ্ছে ১৩টি, সর্বনিম্ন ৩২ হাজার
- বর্তমান সরকারের আমলে আসছে না নতুন পে-স্কেল: জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
- ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নতুন পে স্কেল কার্যকর
- নবম পে স্কেল চূড়ান্ত: গ্রেড ১৩ সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার
- মহার্ঘ ভাতাসহ যা যা আছে নতুন পে স্কেলে
- পে-স্কেল নিয়ে বিশাল বড় সুখবর পেলেন যারা
- অনার্স প্রথম বর্ষের ফল প্রকাশ: এক ক্লিকে দেখুন এখানে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- নবম পে স্কেল: সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ও ১৩ গ্রেডের প্রস্তাব
- সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- নবম পে স্কেলের চূড়ান্ত রিপোর্ট: যা যা আছে
- আজকের সোনার বাজার দর: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- নায়ক রিয়াজের মৃত্যুর খবর কি সত্যি? যা জানা গেল
- বর্তমান বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তি: কার কত সম্পদ
