
সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ, রাজনীতিতে তোলপাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যরাতে ঢাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়। এক অজানা অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে বাতাসে, যা সকালে মেঘলা আকাশ ভেদ করে আসা রোদের ঝলককেও ম্লান করে দেয়। সবার মনে একই প্রশ্ন—দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে কি কোনো বড় পরিবর্তন আসছে?
দেশের বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাই কমিশনারের ফোনে আসে এক জরুরি নির্দেশ। ওপার থেকে বলা হয়, "রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের ছবি সরাতে হবে, এক্ষুনি ব্যবস্থা নিন।" এর কোনো লিখিত বা সরকারি নোটিফিকেশন নেই, কেবল একটি টেলিফোন কল। এই আকস্মিক নির্দেশ দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মহলে এক চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়।
সাধারণত, বিদেশে বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও কনস্যুলেটে রাষ্ট্রপতির ছবি রাখা হয়। এটি একটি দীর্ঘদিনের প্রথা, যা অফিস থেকে শুরু করে রাষ্ট্রদূতের বাসভবন পর্যন্ত প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই এই প্রথা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ আসে।
দক্ষিণ এশিয়ার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "ঢাকা থেকে আমাদের সরাসরি ফোন করা হয়েছে। বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনের ছবি সরিয়ে ফেলতে। লিখিত কোনো নির্দেশ এখনো পাইনি। একই সাথে বলা হয়েছে এই খবর যেন আশেপাশের মিশনগুলোতেও পৌঁছে দেওয়া হয়।"
এই একটি ফোন কল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন মিশনে। এক রাষ্ট্রদূত আরেকজনকে ফোন করে বলেন, "আমরা নির্দেশ পেয়েছি, আপনারাও প্রস্তুত থাকুন।" যেন এক অদৃশ্য সুতায় বাঁধা বার্তা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে।
এই নির্দেশের কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। কূটনীতিকদের মধ্যে ফিসফিস করে আলোচনা চলছে। কেউ মনে করছেন এটি কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত, আবার কেউ এটিকে প্রশাসনিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, "ছবি সরানো হয়তো আপাতদৃষ্টিতে সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু কূটনৈতিক সংস্কৃতিতে এর গভীর অর্থ আছে। রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে নিলে দূতাবাসের পরিবেশই বদলে যায়।"
এখনো অনেক মিশন আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা পায়নি, তবে অন্তত দুজন মিশন প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে তারা সরকারের কাছ থেকে টেলিফোনে এই নির্দেশ পেয়েছেন। বাকিরা অপেক্ষায় আছেন আনুষ্ঠানিক নির্দেশের জন্য।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক মহলে একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে—রাষ্ট্রপতির ছবির মতো একটি প্রতীকি জিনিস সরানোর মধ্যে কি কোনো বড় সংকেত লুকিয়ে আছে? নাকি এটি কেবল একটি সাময়িক সিদ্ধান্ত? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করায় অনিশ্চয়তা আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন- অনড় জামায়াত-বিএনপি-এনসিপি: সেনাপ্রধানের শঙ্কা বাস্তব রূপ নিচ্ছে
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না কোন রাজনৈতিক দলের প্রধান
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপাতত, ঢাকার নির্দেশই শেষ কথা—রাষ্ট্রপতির ছবি আর কোনো বিদেশি মিশনের দেয়ালে থাকবে না।
সোহাগ আহমেদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দাসী রেখে সহবাস: ইসলাম কী বলে
- অনড় জামায়াত-বিএনপি-এনসিপি: সেনাপ্রধানের শঙ্কা বাস্তব রূপ নিচ্ছে
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস
- সরকারি কর্মচারীর বেতন বাড়ছে: বসছে বেতন কমিশনের সভা
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- ৭২ ঘণ্টায় দেশের ২০ জেলা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- নতুন স্মার্ট এনআইডি বিতরণ শুরু: দেখে নিন আপনার কার্ড এসেছে কিনা
- সিজারে সন্তান নিলে কি জান্নাত মিলবে না
- অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি, কে জিতবে
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- শিশুদের টাইফয়েডের টিকা: নিবন্ধন করবেন যেভাবে
- জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ মেঘ বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা ৪৬