কিডনির ব্যথা নাকি গ্যাসের ব্যথা: কীভাবে বুঝবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আপনার কি হঠাৎ করেই কোমরের নিচে বা পিঠের পাশে তীব্র ব্যথা হচ্ছে? যদি এই ব্যথা বারবার হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে একে শুধু মাংসপেশির টান বা গ্যাস ভেবে উপেক্ষা করা উচিত নয়। অনেক সময় এই ব্যথা হতে পারে কিডনিতে পাথর (কিডনি স্টোন) থাকার লক্ষণ। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনার ব্যথাটি কিডনি স্টোনের, নাকি পিঠ বা গ্যাসের সমস্যা থেকে হচ্ছে? নিচে এই তিন ধরনের ব্যথার গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো।
ব্যথার ধরন ও তীব্রতা
* কিডনি স্টোন: কিডনি স্টোনের ব্যথা সাধারণত হঠাৎ করে শুরু হয় এবং এর তীব্রতা অনেক বেশি হয়। অনেকেই এটিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার মতো বা তীব্র চাপ অনুভব করার মতো ব্যথা বলে বর্ণনা করেন। এই ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে এর সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
* পিঠের ব্যথা: এই ব্যথা সাধারণত মৃদু থেকে মাঝারি হয় এবং একটানা থাকতে পারে। মাংসপেশির ব্যথা কোনো নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় বেশি অনুভূত হয় বা নড়াচড়া করলে বাড়তে পারে।
* গ্যাসের ব্যথা: গ্যাসের ব্যথা সাধারণত তীব্র নয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে। এটি অস্বস্তি সৃষ্টি করলেও সাধারণত অসহনীয় হয় না।
ব্যথার অবস্থান ও গতিপ্রকৃতি
* কিডনি স্টোন: কিডনি স্টোনের ব্যথা সাধারণত পাঁজরের নিচের দিকে, পিঠের একপাশে শুরু হয়। পাথর যখন মূত্রনালির দিকে নামতে থাকে, তখন ব্যথা তলপেট, কুঁচকি এবং অণ্ডকোষ বা যৌনাঙ্গের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে।
* পিঠের ব্যথা: মাংসপেশির টান বা পিঠের ব্যথা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ থাকে এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরে না।
* গ্যাসের ব্যথা: গ্যাসের ব্যথা সাধারণত পেট বা পেটের উপরের অংশে অনুভূত হয়। এটি খাদ্য হজম প্রক্রিয়া এবং শরীরের অবস্থানের উপর নির্ভর করে স্থান পরিবর্তন করতে পারে।
ব্যথার সঙ্গে থাকা অন্যান্য লক্ষণ
* কিডনি স্টোন:
* প্রস্রাবে রক্ত বা ঘোলাটে ভাব।
* ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভব করা।
* প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া।
* জ্বর বা কাঁপুনি।
* গ্যাসের ব্যথা: * পেট ফাঁপা লাগা।
* বারবার ঢেঁকুর ওঠা।
* গ্যাস বের হলে সাময়িক আরাম অনুভব করা।
* পিঠের ব্যথা:
* মাংসপেশিতে টান বা জড়তা অনুভব করা। * বসা বা শোয়ার সময় নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় ব্যথা বাড়া বা কমা।
চলাফেরা বা ভঙ্গিমার প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া
* পিঠের ব্যথা: পিঠের ব্যথা শরীরের অবস্থান বা নড়াচড়ার সঙ্গে কমে বা বাড়ে। যেমন— বাঁকা হয়ে বসলে বা হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে ব্যথা তীব্র হতে পারে, আবার বিশ্রাম নিলে কমতে পারে।
* গ্যাসের ব্যথা: হাঁটাচলার পর বা টয়লেট ব্যবহারের পর গ্যাসের ব্যথা সাধারণত কমে যেতে পারে।
* কিডনি স্টোনের ব্যথা: কিডনি স্টোনের ব্যথা সাধারণত চলাফেরা বা শোয়ার ভঙ্গি বদলালে কমে না। বরং রোগী ব্যথায় অস্থিরভাবে নড়াচড়া করলেও কোনো স্বস্তি পান না। এই ব্যথা ধারাবাহিক, তীব্র এবং অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।
যদি আপনার এমন তীব্র ব্যথা হয় এবং এর সঙ্গে উল্লিখিত লক্ষণগুলো মিলে যায়, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা আপনার কষ্ট কমাতে এবং বড় ধরনের জটিলতা এড়াতে সাহায্য করবে।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ