পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কি স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুস্থ ও প্রাণবন্ত জীবনের অন্যতম শর্ত হলো পর্যাপ্ত এবং নিয়মিত ঘুম। শুধু ঘুমের সময়ের দৈর্ঘ্য নয়, বরং প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা জানাচ্ছে, যারা অনিয়মিত ঘুমে অভ্যস্ত, তাদের হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও হার্ট ফেইলারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথ’-এ প্রকাশিত গবেষণাটি পরিচালনা করেন কানাডার ‘চিলড্রেন’স হসপিটাল অব ইস্টার্ন অন্টারিও রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী জ্যাঁ-ফিলিপ শাপুট। তিনি বলেন, ঘুম ও জাগরণের সময় প্রতিদিন পরিবর্তিত হলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালী বা জৈবঘড়ির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
এই গবেষণায় ৪০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ৭২ হাজারের বেশি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে তাদের তিনটি দলে ভাগ করা হয়:
১. নিয়মিত ঘুম – যাদের স্লিপ রেগুলারিটি ইনডেক্স (SRI) ছিল ৮৭.৩ বা তার বেশি
২. মাঝারি অনিয়ম – যাদের SRI স্কোর ছিল ৭১.৬ থেকে ৮৭.৩ এর মধ্যে
৩. অনিয়মিত ঘুম – যাদের SRI স্কোর ছিল ৭১.৬ এর নিচে
ফলাফলে দেখা যায়, অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাসে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ। মাঝারি অনিয়মের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেড়েছে ৮ শতাংশ। অন্যদিকে যারা সবচেয়ে নিয়মিত ঘুমিয়েছেন, অর্থাৎ যাদের SRI স্কোর ছিল ৮০.৮-এর উপরে, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ১৮ শতাংশ পর্যন্ত কম দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুমের সময়সূচিতে বারবার পরিবর্তন শরীরের সার্কাডিয়ান রিদম বা জৈবঘড়িকে ব্যাহত করে। এতে কোষের বিপাকক্রিয়া, হরমোন নিঃসরণ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্যক্রমে সমস্যা হয়। এসবের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব গিয়ে পড়ে হৃদপিণ্ডের ওপর।
নিয়মিত ঘুম নিশ্চিত করতে কিছু সাধারণ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা:
* প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠা
* ঘুমের আগে চা-কফি ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলা
* স্ক্রিন টাইম কমানো, অর্থাৎ মোবাইল, টিভি বা কম্পিউটারে সময় কম কাটানো
* ঘুমের ঘর যেন হয় শান্ত, অন্ধকার ও ঠান্ডা
* ঘুমানোর আগে একটি নির্দিষ্ট রুটিন (যেমন বই পড়া, হালকা সংগীত শোনা) অনুসরণ করা
স্ট্যানফোর্ড মেডিসিনের ঘুম বিশেষজ্ঞ স্কট কুচার বলেন, ঘুম ঠিক করার প্রথম ধাপ হলো প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠা। এটি নিয়মিত হলে ঘুম সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যাও ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যায়।
সুতরাং, শুধু ক্লান্তি নয়—ঘুমের অনিয়ম দীর্ঘ মেয়াদে আপনার হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সুস্থ থাকতে এখনই ঘুমের নিয়মে ফেরত আসুন।
সিদ্দিকা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- কোন গ্রুপের রক্তের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- শেখ হাসিনা কি লন্ডন যাচ্ছেন, যা জানা গেল
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- এবার ইরানের ওপর শক্তিশালী আঘাত করল যুক্তরাষ্ট্র!
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- এমন বৃষ্টি চলবে কতদিন! জানালো আবহাওয়া অফিস
- প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ