আসিফ মাহমুদ কি আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগ থেকে গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন পাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনার পরপরই তিনি দাবি করেন, তার কাছে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র রয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে— তার বয়স কি অস্ত্র বহনের জন্য আইনগতভাবে নির্ধারিত শর্ত পূরণ করে?
আসিফ মাহমুদ রোববার ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে অংশ নিতে মরক্কোর মারাকেশ শহরে যাচ্ছিলেন। এ সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্যানিংয়ের সময় তার ব্যাগে গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের অস্ত্র আইনে বলা আছে, শর্ট ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্র (যেমন পিস্তল বা রিভলভার) লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর এবং লং ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্রের (যেমন শটগান, রাইফেল) ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর হতে হবে। তবে আসিফ মাহমুদের বয়স ২৬ বছর, অর্থাৎ শর্ট ব্যারেল অস্ত্র বহনের বয়সসীমার শর্ত তিনি পূরণ করেন না।
তাহলে কীভাবে তিনি এই অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন?
২০১৬ সালের আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালার ধারা ৩২ (২)-এ বলা হয়েছে, সরকারি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সচিব বা মন্ত্রীসমমর্যাদার কেউ হলে বিশেষ বিবেচনায় লাইসেন্স প্রদান করা যেতে পারে এবং কিছু শর্ত শিথিলযোগ্য।
আসিফ মাহমুদ বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে মন্ত্রী পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করছেন, যা সচিব বা উপসচিব সমমর্যাদার বলে বিবেচিত হয়। সেক্ষেত্রে তিনি 'বিশেষ বিবেচনা'র আওতায় লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন।
এছাড়া নীতিমালায় আরও বলা আছে, যদি কোনও উপদেষ্টা বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা হুমকির প্রমাণ থাকে, তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বয়সসীমার শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, তার ওপর হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে, যা একটি নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার জন্য লাইসেন্স অনুমোদন দিয়ে থাকতে পারে।
তবে লাইসেন্স থাকলেও, অস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে আরও কিছু শর্ত রয়েছে— যেমন গুলির হিসাব থানায় রিপোর্ট করা, অস্ত্র কোথায় রাখা হবে, কখন ব্যবহার করা যাবে ইত্যাদি। সেসব নিয়ম মানা হয়েছে কিনা— তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বর্তমানে এই ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। পুরো বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এখন দেখার বিষয়, আইন অনুযায়ী আসিফ মাহমুদের আগ্নেয়াস্ত্র বহন বৈধ ছিল কি না— নাকি এখানেও রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাবের ব্যতিক্রমিক সুবিধা কাজ করেছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ