| ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

ড. ইউনূসকে সরালে আসলে লাভবান হবে কে!

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মে ২৬ ১৭:৩১:৫২
ড. ইউনূসকে সরালে আসলে লাভবান হবে কে!

নিজস্ব প্রতিবেদক; বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৫ আগস্ট হয়ে উঠেছে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এদিন দেশজুড়ে জনতার ঢল নামে—ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একত্র হয় একটি অভিন্ন দাবিতে: পরিবর্তনের।

৫ আগস্টের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের রাজপথে দেখা যায় ৭১ পরবর্তী বৃহৎ জনস্রোত। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রূপ নেয় প্রত্যয়ের আন্দোলনে। স্বৈরশাসনের অবসানের পর বাংলাদেশে শুরু হয় এক নতুন সময়ের যাত্রা—নতুন স্বপ্ন, নতুন প্রত্যাশা।

এই উত্তাল সময়ে সামনে আসে একটি বড় প্রশ্ন: কে নেবে দেশের হাল? কে নেতৃত্ব দেবেন এক বিপর্যস্ত রাষ্ট্রকে স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বে?

আন্দোলনের অগ্রনায়করা সেদিন তাকান এক অভিজ্ঞ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বের দিকে—নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি। তার নেতৃত্বে আস্থা রাখেন তারা। দেশের অর্থনীতিতে, প্রশাসনিক দক্ষতায় এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতায় ড. ইউনূস হয়ে ওঠেন অনেকের কাছে সম্ভাবনার প্রতীক।

ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই দেশের অর্থনীতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক সাড়া দেখা যায়, বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয় এবং আইনশৃঙ্খলাতেও আস্থার কিছু চিহ্ন দেখা যেতে থাকে।

তবে, এই পরিবর্তনের ধারায় অসন্তুষ্ট কিছু দেশ ও শক্তিও রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব রেখে আসা প্রতিবেশী ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূস যদি নেতৃত্বে থাকেন, তবে বাংলাদেশের ওপর ভারতের একচেটিয়া প্রভাব খর্ব হতে পারে—এই শঙ্কা থেকেই কিছু কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে কিছু মহল এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো বুঝে ফেলেছে—ড. ইউনূসকে সরালে শুধু রাজনৈতিক ক্ষতিই হবে না, এর প্রভাব পড়বে সমাজে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও। তাই অধিকাংশ মানুষ এখন চাইছে—আসন্ন নির্বাচন হোক সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং ড. ইউনূসের নিরপেক্ষ নেতৃত্বের অধীনেই।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ওপর। এই মুহূর্তে অনেকেই মনে করছেন, সেই দায়িত্বে ড. ইউনূস এখনো সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টানা হার, ব্যাটিং-বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব এবং দলে ...

১১ জনের মৃত্যুর জন্য গ্রেপ্তার হতে পারেন ভিরাট কোহলি

১১ জনের মৃত্যুর জন্য গ্রেপ্তার হতে পারেন ভিরাট কোহলি

আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়াকে কেন্দ্র করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) উদযাপন শেষ পর্যন্ত রূপ নিয়েছে ট্র্যাজেডিতে। ...

ফুটবল

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ থেকে ঠিক এক বছর পর শুরু হবে ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ। এবারের ...

আর্জেন্টিনার ড্র, ব্রাজিলের জয় উল্টে গেল পয়েন্ট টেবিল

আর্জেন্টিনার ড্র, ব্রাজিলের জয় উল্টে গেল পয়েন্ট টেবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক; ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্ব এখন রীতিমতো রোমাঞ্চকর পর্যায়ে পৌঁছেছে। ...