| ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

নামাজের গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৫:৩২:১১
নামাজের গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে

নামাজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুকন। এটি এমন এক অঙ্গ, যা ছাড়া ইসলামের কোনো বাস্তবতা নেই, যেমন একটি ঘর যার কোনো খুঁটি নেই। ইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম এবং মহান আল্লাহ তায়ালা সর্বাবস্থায় নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনে এই বিষয়ে বলা হয়েছে:

"সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও। যদি শত্রুর ভয় থাকে, তবে দাঁড়িয়ে বা বাহনে নামাজ পড়ো। যখন নিরাপদ হও, তখন আল্লাহর জিকির করো, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যা তোমরা জানতেও না।" (সূরা বাকারা: ২৩৮-২৩৯)

কোরআনে নামাজের গুরুত্ব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন:

"আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিশ্চয় তা বিনয়ীদের ছাড়া অন্যদের ওপর কঠিন।" (সূরা বাকারা: ৪৫)

"হে ঈমানদারগণ! তোমরা সাহায্য চাও সবর ও সালাতের মাধ্যমে। নিশ্চয় আল্লাহ সবরকারীদের সঙ্গে আছেন।" (সূরা বাকারা: ১৫৩)

এছাড়া, কিয়ামতের দিন প্রথমে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে; এটি নামাজের গুরুত্বের আরো একটি প্রমাণ। হাদিসে বর্ণিত আছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার কাজের মধ্যে নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। যদি নামাজ সঠিকভাবে আদায় করা হয়, তবে সে নাজাত পাবে এবং সফল হবে। আর যদি নামাজ নষ্ট হয়, তবে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” (নাসায়ি)

একইভাবে, অন্য একটি হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, “ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত। এক. আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করা। দুই. নামাজ কায়েম করা। তিন. যাকাত দেওয়া। চার. রমজানে রোজা পালন করা। পাঁচ. হজ করা।” (মুসলিম)

নামাজের গুরুত্ব শুধু এটাই নয়। মহানবী (সা.) যখন কোনো সমস্যায় বা চিন্তায় পড়তেন, তখন তিনি নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতেন। (মুসনাদে আহমাদ: ৫/৩৮৮)

কোনো বিপদ বা সমস্যায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার জন্য নামাজে দাঁড়ানো যেতে পারে। সালফে সালেহীন তথা সাহাবা, তাবেয়ীন ও সত্যনিষ্ঠ ইমামদের কাছ থেকে এই বিষয়ে বহু ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।

ইবনে আব্বাস (রা.) তার ভাই 'কুছাম' এর মৃত্যুর খবর শুনে, তখন তিনি সফর অবস্থায় ছিলেন। তিনি তার বাহন থেকে নেমে দুই রাকাত সালাত আদায় করে এই আয়াত তেলাওয়াত করেছিলেন।

আরও একটি ঘটনা, আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) অসুস্থ হয়ে পড়ে একবার এমনভাবে বেহুশ হয়ে গিয়েছিলেন, যে সবাই মনে করেছিল তিনি মারা গেছেন। তখন তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম মসজিদে গিয়ে আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে সবর ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন। (মুস্তাদরাকে হাকিম: ২/২৬৯)

এগুলো সবই প্রমাণ যে, নামাজ শুধু ইবাদত নয়, এটি বিপদে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যম।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

বাংলাদেশ পাকিস্তান ৫ ম্যাচের সূচি ঘোষণা

বাংলাদেশ পাকিস্তান ৫ ম্যাচের সূচি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ওয়ানডে সিরিজের বদলে খেলবে ...

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

পিএসএলের উদ্বোধনী দিনেই হোটেলে অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) ২০২৫-এর পর্দা উঠছে আজ, ১১ এপ্রিল, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড বনাম ...

ফুটবল

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

রোনালদোর আবিষ্কারক পেরেরার মৃত্যু

পর্তুগিজ ফুটবলের ইতিহাসে লুইস ফিগো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিদের আবির্ভাব শুধু মাঠেই নয়, এর ...

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

বাংলাদেশ দলে খেলে কত টাকা পেলেন হামজা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ...