পেঁয়াজ আমদানির জন্য নতুন বিকল্প খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৩৮ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন হয় প্রায় ৩৫ লাখ টন। এর মধ্যে সংরক্ষণ ও অন্যান্য কারণে নষ্ট হয়ে যায় এক বড় অংশ, ফলে বাজারে আসে প্রায় ২৬ থেকে ২৭ লাখ টন। বাকি ১০ থেকে ১১ লাখ টনের ঘাটতি পূরণে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় দেশকে। এতদিন এ ঘাটতির ৯০ শতাংশই পূরণ হতো ভারত থেকে। তবে নানা সময় ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, শুল্ক বাড়ানো ও কৃত্রিম সংকট তৈরির ফলে বাংলাদেশকে বিকল্প উৎস খুঁজতে বাধ্য করেছে।
২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর আমদানিকারকরা উন্মুক্তভাবে নতুন বাজার অনুসন্ধান শুরু করেন। এতে পাকিস্তান, মিসর, চীন, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক ও থাইল্যান্ড—এই আটটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির পথ খুলে যায়। গত ৬ মাসে এসব দেশ থেকে ১৩ হাজার ৫৯৬ টন পেঁয়াজ এসেছে, যার মধ্যে পাকিস্তান থেকেই এসেছে ৬ হাজার ২৯১ টন—যা মোট আমদানির ৪৭ শতাংশ।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেন জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের দাম যেখানে কেজি প্রতি ৫৫ টাকা, সেখানে পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। তিনি বলেন, "পাকিস্তানের বাজার অনেক আগেই চিহ্নিত করা গেলেও আগের সরকারের নীতিগত বাধায় সে পথে যাওয়া যায়নি। এখন বাণিজ্যিকভাবে সহজ হওয়ায় আমদানিতে গতি এসেছে।"
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্যমতে, চলতি বছর জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান থেকেই এসেছে সর্বাধিক পেঁয়াজ। আগস্টে পাকিস্তান থেকে এসেছে ৩,৩৪৩ টনের বেশি, সেপ্টেম্বরেও এগিয়ে ছিল দেশটি। তবে নভেম্বর থেকে দেশি রবিশস্য বাজারে আসায় আমদানির চাপ কিছুটা কমেছে।
কৃষি বিভাগ জানায়, বর্তমানে ফরিদপুর, পাবনা, রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলা থেকে দেশি পেঁয়াজ সরবরাহ হচ্ছে। যদিও অতিরিক্ত ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির ফলে এক সময় দাম পড়ে যায় ৪০ টাকায়, তবে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় এখন দাম ঘুরে দাঁড়িয়ে পৌঁছেছে ৬০ টাকার কাছাকাছি।
মেসার্স আসলাম ট্রেডার্সের মালিক আসলাম মিয়া বলেন, “পেঁয়াজ পচনশীল হওয়ায় আমদানিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে। মিয়ানমার থেকেও সম্ভাবনা থাকলেও দেশটিতে গৃহযুদ্ধের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে পাকিস্তানই এখন একমাত্র কার্যকর ভরসা।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ওপর একচেটিয়া নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার এ উদ্যোগ বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে, একইসঙ্গে আমদানিতে বৈচিত্র্য এনে ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশলগত নিরাপত্তাও তৈরি করবে।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ভারতের একচেটিয়া বাজার ভাঙতে পেঁয়াজ আমদানিতে বিকল্প দেশ হিসেবে পাকিস্তানসহ ৮ দেশের দিকেই ঝুঁকেছে বাংলাদেশ। এতে করে একদিকে যেমন দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তেমনি আমদানির নতুন দিগন্তও খুলেছে ব্যবসায়ীদের সামনে।
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- আগামী ৬ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি
- আরও দুটি লম্বা ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
- ঘরে পিঁপড়া: আল্লাহর পক্ষ থেকে ৫টি গোপন বার্তা
- তৌহিদ আফ্রিদির অজানা কুকর্ম ফাঁস
- বন্ধ হচ্ছে ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, টাকা ফেরত পাবেন
- ঈদে মিলাদুন্নবী কবে: জানা গেল ছুটির তারিখ
- যেভাবে গ্রেফতার হলেন তৌহিদ আফ্রিদি
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট এক ভরি স্বর্ণের দাম
- প্রতিদিন আদা খেলে যেসব জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন
- নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না আ.লীগ
- যে কারণে কিছু ফোনে বদলায়নি ডায়াল প্যাড
- মোদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন থালাপতি বিজয়