পরিত্যক্ত ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক রেকর্ড গড়েন মুশফিক

আজ ২০ মার্চ সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ম্যাচ। এক ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে চাই এই ম্যাচের জয়ের মাধ্যমে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনতে চান আয়ারল্যান্ড।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করেন। আয়ারল্যান্ডএর সামনে ৩৫০ রানের লক্ষ্য। যা বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। তবে বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
পরিত্যক্ত এই ম্যাচে বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং মুশফিকুর রহিম ৬০ বলে সেঞ্চুরি করেন। তবে মুশফিকের সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী রেকর্ডটি কোন কাজে আসেনি।
বুড়ো বয়সে এসে কী তবে নিজের ব্যাটিং স্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসলেন মুশফিকুর রহিম? আগের ম্যাচেও দেখা গেছে বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে। তবে ওই ম্যাচে ২৬ বলে ৪৪ রান করে আউট হয়ে গেলেও আজ দ্বিতীয় ম্যাচে আর মুশফিককে আউট করতে পারেননি কোনো আইরিশ বোলার।
বরং, সফরকারী আয়ারল্যান্ড বোলারদের উইকেটের চারদিকে পিটিয়ে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। পেছনে ফেলে দিলেন সাকিব আল হাসানের রেকর্ড।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের একেবারে শেষ বলে এসে গ্রাহাম হিউমের কাছ থেকে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশফিক। সে সঙ্গে বসে গেলেন রেকর্ডের পাতায়। ৬০ বলে ১৪ বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায় তিন অংকের ঘরে পৌঁছালেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে মুশফিকের এটা ৯ম সেঞ্চুরি।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল সাকিব আল হাসানের ৬৩ বলে। ২০০৯ সালের ১১ আগস্ট জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে এই রেকর্ড গড়েছিলেন সাকিব।
সেঞ্চুরির আগে আরও একটি গৌরবময় মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ৫৫ রানে পৌঁছার পরই তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে পূরণ করে ফেলেন ৭ হাজার রানের মাইলফলক। এরপর তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে বাংলাদেশের রানকে আইরিশদের নাগালের বাইরে নিতে শুরু করেন বিধ্বংসী ব্যাটিং।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি। যে কারণে দ্রুত সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান। শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। প্রথম বলেই ইয়াসির আলি আউট হয়ে যান। দ্বিতীয় বলে তাসকিন এক রান নিয়ে দেন মুশফিককে। পরের বলেই ২ রান। এরপর মারলেন বাউন্ডারির। পঞ্চম বলে আবারও নিলেন ২ রান। শেষ বলে ১ রান নিয়েই পৌঁছে যান দ্রুততম সেঞ্চুরির মাইলফলকে।
সাকিব আল হাসান ২০০৯ সালেই ২ বার বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন। প্রথমে মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে, এরপর একই বছর অক্টোবরে, একই প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় ৬৮ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমের এর আগে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল ৬৯ বলে। করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে, ২০১৫ সালের এপ্রিলে।
বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দ্রুততম ৪টি সেঞ্চুরি
৬০ বল-মুশফিকুর রহিম, প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড (ভেন্যু: সিলেট, ২০২৩)
৬৩ বল-সাকিব আল হাসান, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে (ভেন্যু: বুলাওয়ে, ২০০৯)
৬৮ বল-সাকিব আল হাসান, প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে (ভেন্যু: মিরপুর, ২০০৯)
৬৯ বল-মুশফিকুর রহিম, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান (ভেন্যু: মিরপুর, ২০১৫)
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- দেশের বাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা : সরকারি ছুটি মিলবে কত দিন
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মহার্ঘ ঘোষণা
- আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভারতের প্রতিক্রিয়া, দাবি দ্রুত নির্বাচনের
- ভারতের হামলায় কতজন সেনা হারিয়েছে পাকিস্তান
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- এএসপি পলাশকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলেন তার বোন ও দুলাভাই
- তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ আঘাত আনবে বাংলাদেশের যে এলাকায়
- কোরবানীর ঈদ কবে, জানা গেল বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ও তারিখ
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, সত্যতা নিয়ে যা জানা গেল