মুস্তাফিজের পরিবর্তে নরকিয়াকেদলে নেওয়া ভুলের মাশুল দিল দিল্লি

এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান, যিনি খেলছিলেন দিল্লী ক্যাপিটালসের হয়ে। দিল্লীতে মুস্তাফিজের মূল লড়াইটা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার অ্যানরিখ নরকিয়ার সাথে। শেষদিকে নরকিয়া একাদশে জায়গা দখল করলে ব্রাত্য হয়ে পড়েন মুস্তাফিজ।
কোয়ারেন্টিনের কারণে মুস্তাফিজ আসরে দলের প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। তবে এরপর একটানা খেলেছেন ৮টি ম্যাচে। একসময় দলের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন এই কাটার মাস্টার। নিয়মিত ম্যাচের শুরু ও শেষের ওভারে তার হাতে বল তুলে দিতেন অধিনায়ক রিশভ পান্ট। আসরের শুরুর দিকে অ্যানরিখ নরকিয়া পড়েছিলেন ইঞ্জুরিতে। তিনি ইঞ্জুরি সারিয়ে উঠলে দলের ১০ম ম্যাচে বিস্ময়করভাবে একাদশে জায়গা হারান মুস্তাফিজ। এরপর দলের শেষ ৫ ম্যাচে আর একাদশে ফেরা হয়নি তার। শেষপর্যন্ত প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থই হল দিল্লী।
সত্যিই পারফরম্যান্সের নিরিখে মুস্তাফিজকে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছিল কি না বা রাখা হলে তা যৌক্তিক ছিল কি না এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সেই বিষয়টি পরিস্কার হতে দুই পেসারের সেই পারফরম্যান্সের তুলনা করা যাক।
সেরা বোলিং ফিগারের দিক থেকে মুস্তাফিজের ধারেকাছে নেই নরকিয়া। মুস্তাফিজ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন মাত্র ১৮ রানের খরচায়। নরকিয়ার সেরা বোলিং ফিগার চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে, যে ম্যাচে ৩ উইকেট শিকার করতে তাকে খরচ করতে হয় ৪২ রান। এছাড়া ওভারপ্রতি রান দেওয়ার দিক থেকেও মুস্তাফিজ এগিয়ে। মুস্তাফিজ প্রতি ওভারে গড়ে ৭.৬২ রান খরচ করলেও নরকিয়া খরচ করেছেন ৯.৭১ রান করে।
দিল্লীর বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজের চেয়ে কম ইকনোমি রেট আছে শুধু অক্ষর প্যাটেলের, যিনি ওভারপ্রতি গড়ে ৭.৪৬ রান করে খরচ করেছেন। মুস্তাফিজের ১৮ রানের খরচায় ৩ উইকেট শিকার করার বোলিং ফিগারটি এবারের আসরে দিল্লীর তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। তবে ভুলে যাওয়ার মত একটি রেকর্ড আছে মুস্তাফিজের। দিল্লীর বোলারদের মধ্যে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটি এবার তার দখলে। বিরাট কোহলির দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেছিলেন তিনি, যে ম্যাচে মুস্তাফিজের এক ওভারে ছয়টি বলই সীমানাছাড়া করেন দীনেশ কার্তিক। তবে নরকিয়া একটি ম্যাচে (লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে আসরে দলের দ্বিতীয় ম্যাচ, যা মুস্তাফিজের প্রথম ম্যাচ ছিল) ১৪ বল করে খরচ করেছিলেন ৩৫ রান। যেভাবে রান বিলিয়ে যাচ্ছিলেন, ৪ ওভার বল করলে সেই ম্যাচে তার খরচের অঙ্ক কত হত সেই হিসাব মেলানো ভার।
এবারের আসরে নরকিয়া মোট ৬টি ম্যাচ খেলেছেন, মুস্তাফিজ ম্যাচ খেলেছেন ৮টি। মোট ২২.২ ওভার বল করে নরকিয়া শিকার করেছেন ৯টি উইকেট, মুস্তাফিজ ৮টি উইকেট শিকার করেছেন ৩২ ওভার বল করে। গড়ে একটি উইকেট শিকারের জন্য নরকিয়া খরচ করেছেন ২৪ রান, যেখানে মুস্তাফিজ প্রতি উইকেট পেয়েছেন ৩০ রানের খরচায়। পরিসংখ্যান বলছে, উইকেট শিকারের দিক থেকে নরকিয়াই এগিয়ে। তবে মুস্তাফিজের বলে সহজ কিছু ক্যাচ হাতছাড়া না হলে কাটার মাস্টার এখানেও এগিয়ে থাকতেন।
এছাড়া মুস্তাফিজ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন ডট বল করার ক্ষেত্রেও। মুস্তাফিজ তার ডেলিভারির প্রায় ৪০ শতাংশই করেছেন ডট বল, যেখানে নরকিয়ার ডট বল তার মোট ডেলিভারির ৩৬.৫ শতাংশ।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে রক্তের গ্রুপে স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
- সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে, সর্বনিম্ন ৪ হাজার, সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা
- দাঁত ব্রাশ করার পরও মুখে দুর্গন্ধ! জেনে নিন ৬ সমাধান
- এমন বৃষ্টি আর কতদিন চলবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
- জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জরিপে চমক: দেখে নিন বিএনপির অবস্থান
- একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ সিম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত
- মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যার নতুন মোড়, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!
- প্রকাশ্যে পাথর মারার ঘটনায় ছাত্রদল নেতা রবিনের দায় স্বীকার, যা জানা গেল
- কত দিনের বাচ্চা নষ্ট করলে গুনাহ হয় না
- নৃশংস সেই ঘটনায় জড়িতরা শনাক্ত, মিলল ২ জনের পরিচয়
- আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলাদেশকে ভিসা দিবে ৬ দেশ!
- বাড়ছে ক্যানসার, যেসব লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ
- কার সঙ্গে কার বিয়ে হবে—এটা কি পূর্বনির্ধারিত!
- এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ ঘোষণা
- ভারতীয় নার্স প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড, যা জানা গেল