পে স্কেলের আগে বড় সিদ্ধান্ত: ৫ বছরের মূল্যস্ফীতি মাথায় রেখে বেতন নির্ধারণের আল্টিমেটাম
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো (পে স্কেল) ঘোষণার প্রাক্কালে একটি বড় ধরনের দাবি সামনে এসেছে। কেবল বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নয়, বরং আগামী ৫ থেকে ৬ বছরের সম্ভাব্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মাথায় রেখে বেতন নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দাবি যদি মানা হয়, তবে নতুন পে স্কেলে বেতন বৃদ্ধির হার হতে পারে ঐতিহাসিক!
কেন এই নতুন আল্টিমেটাম
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র আব্দুল মালেক জানান, অতীতে পে স্কেল ঘোষণার পরপরই বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কর্মচারীরা কার্যকরভাবে লাভবান হতে পারেননি। যেহেতু নতুন স্কেল কার্যকর হলে আগামী ৫ থেকে ৬ বছর আর বেতন বাড়বে না, তাই এখনই ভবিষ্যতের সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতিকে বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
বিশেষজ্ঞের পর্যবেক্ষণ: "যদি এখন এই দাবি মেনে নেওয়া হয়, তবে নতুন পে স্কেলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ৫০ থেকে ১০০ শতাংশের চেয়েও বেশি হতে পারে। কারণ এতে শুধু অতীতের ক্ষতিপূরণ নয়, ভবিষ্যতের মূল্যবৃদ্ধির ঝুঁকিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।"
ক্ষতিপূরণ ও সর্বনিম্ন বেতনের দাবি:
পে কমিশনের কাছে ফেডারেশন সর্বনিম্ন মাসিক বেতন ৩৫,০০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। এই অঙ্কের পেছনে যুক্তি হলো:
* দীর্ঘসূত্রিতার ক্ষতি: নিয়মিত পে স্কেল হলে ২০২৫ সালের মধ্যে সর্বনিম্ন বেতন এমনিতেই ৩৩ হাজার টাকায় পৌঁছাত। এই ১০ বছরের আর্থিক ক্ষতি ও মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করে ৩৫ হাজার টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
* বাস্তবতা: ছয় সদস্যের পরিবারের শুধুমাত্র ডাল-ভাত-ভর্তার মাসিক খরচই প্রায় ২৭ হাজার টাকা। বাসাভাড়া, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে বর্তমান বেতন যথেষ্ট নয়।
গ্রেড কমানোর প্রস্তাব: কেন এত পরিবর্তন
ফেডারেশন একই সঙ্গে বিদ্যমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে ১২টিতে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে।
এই সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো বেতন বৈষম্য কমানো। বর্তমানে যে ১:১০ অনুপাতের বিশাল বৈষম্য রয়েছে, তা কমিয়ে ১:৪-এ নামিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে, যা সরকারি প্রশাসনে নতুন করে আর্থিক শৃঙ্খলা আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কমিশনের সিদ্ধান্ত কবে
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের ইঙ্গিত অনুযায়ী, পে কমিশন আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিতে পারে। এই সুপারিশের ওপর ভিত্তি করেই সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে স্কেলে বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন ও সর্বাচ্চ যত বেতনের প্রস্তাব
- নবম পে-স্কেল: রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ, তিন ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: দ্বিগুণ হলো ভাতা
- ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হচ্ছে নবম পে-স্কেল
- চলছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান সেমি ফাইনাল; (Live) দেখুন এখানে
- পে-স্কেল কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ; আসছে সুখবর!
- তিন ধাপে নবম পে-স্কেল: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে
- অবশেষে পে-স্কেলের সুপারিশ জমা নিয়ে সুখবর
- সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো সংস্কার: ১২টি গ্রেড ও ১:৪ অনুপাতের নতুন প্রস্তাব
- সরকারি কর্মচারীদের সুখবর: জানুয়ারিতেই আসছে পে-স্কেল রিপোর্ট
- সিঙ্গাপুরে কেমন আছেন শরীফ ওসমান হাদি; চিকিৎসকরা জানালেন সর্বশেষ তথ্য
- জানুয়ারির শুরুতেই পে-স্কেলের সুপারিশ জমা দিচ্ছে কমিশন
- নবম পে স্কেল বাস্তবায়ন: তিন ধাপের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল কমিশন
- নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে তিন ধাপের নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- বিমানবন্দরের নতুন ত্রাতা: কে এই ম্যাজিস্ট্রেট নওশাদ খান
