সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরার পথে বড় ধাক্কা
ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগের জন্য বড় দুঃসংবাদ এসেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আনা সংশোধনী অনুযায়ী, এই ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া বা অভিযুক্ত কোনো নেতাই এখন থেকে দেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। দলটির অধিকাংশ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ থাকায় তাদের রাজনীতিতে ফেরার পথ কার্যত বন্ধ হতে চলেছে।
আইনি সংশোধনী ও প্রভাব
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালস অ্যাক্ট, ১৯৭৩-এর সংশোধনের অংশ হিসেবে এই বিধান কার্যকর করা হয়েছে।
* নির্বাচনে অযোগ্যতা: তাজুল ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (Formal Charge) দাখিল করা হবে, সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে (যেমন: সংসদ নির্বাচন, মেয়র বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন) প্রার্থী হতে পারবেন না।
* সরকারি পদে নিষেধাজ্ঞা: এছাড়াও, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনো সরকারি বা পাবলিক অফিসে নিয়োগ পেতে পারবেন না।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউই কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, কারণ দলটির অধিকাংশ নেতা এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত। এই সিদ্ধান্তকে দলটির ভাগ্যে "বড় পেরেক" হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের ওপর আইনি পদক্ষেপ
এই আইনি সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এলো, যখন ক্ষমতচ্যুত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে:
* জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার: গণ-অভ্যুত্থানের সময় (জুলাই হত্যাকাণ্ড) ১৪০০-এর বেশি ছাত্র-জনতা হত্যার অভিযোগে দলটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
* কার্যক্রম নিষিদ্ধ: এর আগে আদালত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম এবং এর ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
দীর্ঘ সময়ের জন্য দেশের রাজনীতিতে ফিরতে চাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা একটি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করল।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এবং গণ-অভ্যুত্থান
বাংলাদেশের রাজনীতির প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচবার ক্ষমতায় আসে। তবে দলটি সর্বশেষ টানা চারবার ক্ষমতায় থাকার সময় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, নির্যাতন ও ভোট কারচুপির মতো বিভিন্ন ইস্যুতে জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
সেই ক্ষোভ ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হয়, যার মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। শীর্ষ নেতাদের অনেকে গ্রেপ্তার হন বা দেশ ত্যাগ করেন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আগামী ৮ তারিখ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ
- বেতন কাঠামো নিয়ে আসছে বড় সুখবর
- লাফিয়ে কমলো পেঁয়াজের দামে
- নবম পে-স্কেলের দাবিতে দেশজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করার হুঁশিয়ারি
- ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকা; উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশেই
- শনিবার ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না দেশের যেসব জেলায়
- আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ল
- নতুন পে স্কেল কার্যকর নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
- পে স্কেলের পথে কমিশন: সোমবার সচিব সভা, রিপোর্ট ডিসেম্বরে
- বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল: ২৩ আসনে মনোনয়ন পরিবর্তন
- ডিসেম্বরেই চূড়ান্ত সুপারিশের পথে পে-কমিশন
- নতুন সিদ্ধান্ত: দেশে ফিরতেই হবে শেখ হাসিনার
- পে স্কেল কার্যকরের সময় নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে
- পে স্কেলের ১৫ পৃষ্ঠার সুপারিশ ফেসবুকে ভাইরাল; যা জানা গেল
- যেকোনো সময় বাংলাদেশে আরও বড় ভূমিকম্পের আঘাতের পূর্বাভাস
