| ঢাকা, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২

চীনের জে-১০ সি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৫:৩৪:১২
চীনের জে-১০ সি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে চীন থেকে ২০টি জে-১০ সি মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এই ৪.৫ প্রজন্মের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানটি বিশ্বজুড়ে আলোচিত, কারণ পাকিস্তান দাবি করেছিল এটি ব্যবহার করেই তারা ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে।

চুক্তির আর্থিক ও পদ্ধতিগত বিবরণ

চীন থেকে এই ২০টি জে-১০ সি ফাইটার জেট, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনার জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকা।

* ক্রয় পদ্ধতি: চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় বা জি টু জি (সরকার-থেকে-সরকার) পদ্ধতিতে চীনের সঙ্গে করা হবে।

* পরিশোধের শর্ত: প্রকল্পের মোট ব্যয় আগামী ১০ বছরের মধ্যে (২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত) পরিশোধ করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রতিটি জে-১০ সি যুদ্ধবিমানের মূল্য ৬ কোটি ডলার প্রাক্কলন করা হয়েছে। সেই হিসাবে ২০টি বিমানের মোট মূল্য দাঁড়ায় ১২০ কোটি ডলার (প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা)।

এ ছাড়া প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি ও পরিবহন খরচ বাবদ আরও ৮২ কোটি ডলার (প্রায় ১০ হাজার ৮৬ কোটি টাকা) এবং বীমা, ভ্যাট, কমিশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যোগ করলে মোট ব্যয় ২২০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে।

চুক্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি

যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় চীনা নেতার সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প, বন্দরের বহুমাত্রিক সংযোগ এবং মাল্টিপল রোল কমবেট এয়ারক্র্যাফট কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়।

এরপর গত এপ্রিলে এই চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে বিমানবাহিনীর প্রধানকে সভাপতি করে ১১ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি নিম্নোক্ত কাজগুলো সম্পন্ন করবে:

১. খসড়া চুক্তিপত্র নিরীক্ষণ ও জিটুজি পদ্ধতি যাচাই করা।

২. চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দরকষাকষি করে চূড়ান্ত মূল্য ও পরিশোধের শর্তাবলী নির্ধারণ করা।

৩. চুক্তিপত্রে যুদ্ধবিমানের সংরক্ষণ সহায়তা, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় যুক্ত করা।

জে-১০ সি'র গুরুত্ব ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব

জে-১০ সি জঙ্গিবিমান মূলত চীনের বিমানবাহিনীর ব্যবহৃত জে-১০সি মডেলের রপ্তানি সংস্করণ। এটিকে চীনের অন্যতম উন্নত মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান হিসেবে গণ্য করা হয়, যা উন্নত পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে তা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) আধুনিকায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল এ এন এম মনিরুজ্জামান (অব.) বলেন, বিমানবাহিনীর অনেক দিন ধরেই জঙ্গিবিমানের প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক বলয়ের প্রভাব বিশ্লেষণ করা জরুরি। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান টানাপোড়েন বিবেচনায় রেখে জাতীয় নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে ২১২টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট (৩৬টি চীনা নির্মিত এফ-৭, ৮টি মিগ-২৯বি, এবং ইয়াক–১৩০ লাইট অ্যাটাক বিমান)।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

সাবেক অধিনায়ককে বিসিবি কর্মকর্তার যৌ/ন নির্যাতনের ইঙ্গিত ভিডিওসহ

সাবেক অধিনায়ককে বিসিবি কর্মকর্তার যৌ/ন নির্যাতনের ইঙ্গিত ভিডিওসহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার জাহানারা আলম এক বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ...

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

চলছে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ; লাইভ দেখুন এখানে

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তাই আজকের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য মান বাঁচানোর ...

ফুটবল

ভারত ও নেপাল ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

ভারত ও নেপাল ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এবং নেপালের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচকে সামনে ...

আবারও কমলো সোনার দাম

আবারও কমলো সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক দিনের ব্যবধানে আবারও দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স ...