৭০% প্রণোদনা পাচ্ছেন বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বেসিক সাবজেক্টের তীব্র শিক্ষক সংকট মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এখন থেকে এই আটটি বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষকরা গ্রেডভিত্তিক নির্ধারিত হারের বদলে মূল বেতনের ৭০ শতাংশ হারে প্রণোদনা পেতে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে যে, ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে এবং শীঘ্রই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
কেন এই প্রণোদনা
মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, ফরেনসিক মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ও প্যাথলজি—এই আটটি বিষয়কে বেসিক সাবজেক্ট বলা হয়।
* শিক্ষক সংকট: চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বিষয়গুলোতে অধ্যয়ন করলে তাদের প্র্যাকটিস বা স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে চিকিৎসকরা এসব বিষয়ে শিক্ষকতা করতে আগ্রহী হন না।
* সংকটের চিত্র: স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩৭টি মেডিকেল কলেজে বেসিক সাবজেক্টের মোট ২,১৫৫টি পদের মধ্যে ৫৩১টি পদই শূন্য—যা মোট পদের প্রায় ২৫ শতাংশ।
এই সংকট নিরসনেই ২০১৯ সাল থেকে সরকার গ্রেডভিত্তিক নির্ধারিত হারে (যেমন: নবম গ্রেডে ১০ হাজার টাকা থেকে তৃতীয় গ্রেডে ২০ হাজার টাকা) প্রণোদনা দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে অ্যানাস্থেসিওলজি ও ভাইরোলজি বিষয়ের শিক্ষকরাও এই ভাতার অন্তর্ভুক্ত হন।
৭০ শতাংশ প্রণোদনা অনুমোদনের প্রক্রিয়া
চলতি বছরের শুরুতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বেসিক সাবজেক্টের শিক্ষকদের জন্য মূল বেতনের শতভাগ (১০০%) প্রণোদনার প্রস্তাব করেছিল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তিতে তা আটকে যায়।
* অর্থ মন্ত্রণালয়ের আপত্তির কারণ: বিদ্যমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে এত বড় হারে প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব নয়।
* চূড়ান্ত অনুমোদন: প্রথমে অর্থ মন্ত্রণালয় ৫০ শতাংশ প্রণোদনার অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে তা ৭০ শতাংশে নির্ধারিত ও অনুমোদিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "আমরা আশা করছি, এই উদ্যোগের ফলে বেসিক সাবজেক্টে শিক্ষকতার আগ্রহ বাড়বে।"
সরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যও আসছে প্রণোদনা
এদিকে, শিক্ষক সংকট কমাতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) অধীনে বেসিক সাবজেক্টে পোস্টগ্র্যাজুয়েশন কোর্সে অধ্যয়নরত সরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্যও নির্ধারিত হারে পারিতোষিক বা প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে অধিদপ্তর।
* প্রস্তাবের কারণ: বর্তমানে বেসরকারি রেসিডেন্সি ও নন-রেসিডেন্সি প্রশিক্ষণার্থীরা মাসিক ৩৫ হাজার টাকা হারে প্রণোদনা পান, কিন্তু সরকারি প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
* সংকট: প্রণোদনা না থাকায় সরকারি চিকিৎসকরা বেসিক সাবজেক্টে পড়তে আগ্রহী হন না।
* প্রস্তাবিত হার: অধিদপ্তর সরকারি প্রার্থীদের জন্য অধ্যয়নকালীন মাসিক ২০ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
* বর্তমান অবস্থা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে সম্মতি জানালেও এটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য দপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
এই প্রণোদনা কার্যকর হলে সরকারি চাকরিরত চিকিৎসকরাও বেতনের পাশাপাশি বাড়তি আর্থিক সুবিধা পাবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এতে বেসিক সাবজেক্টে পড়তে চিকিৎসকদের অনীহা কিছুটা হলেও কমবে এবং শিক্ষক সংকট নিরসনে সাহায্য করবে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পে স্কেল চূড়ান্ত: বেতন বাড়ার আগে জিএমপিএস চালু
- নবম পে স্কেলে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- নবম পে স্কেল কার্যকর হবে জানুয়ারিতে: অর্থ উপদেষ্টা
- মহার্ঘ ভাতা: ১১-২০ গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২৫% বৃদ্ধির প্রস্তাব, সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা!
- আজকের সোনার বাজারদর: ৮ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে-স্কেল জানুয়ারি থেকে কার্যকর, বাড়তি চাপ পড়বে যেসব খাতে
- পে স্কেল চূড়ান্ত! ২০২৬ এর শুরুতেই কার্যকর
- নতুন পে স্কেলে যেসব আর্থিক সুবিধা বাড়তে পারে
- নবম পে স্কেল ২০২৬-এর শুরুতেই: বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে আসছে ‘সাকুল্য বেতন’ ধারণা
- আজকের সোনার বাজারদর: ৯ নভেম্বর ২০২৫
- নতুন পে স্কেলে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে সুপারিশ
- ১২ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে, ৫ বেসরকারি ব্যাংক 'নামেমাত্র টিকে আছে'
- নতুন পে স্কেল: সুপারিশ চূড়ান্তের শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে, তবে বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা
- সরকারি পে স্কেল: অর্থ বরাদ্দ শুরু, জিপিএমএস আসছে
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
