 
                    সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
কুমিল্লায় জিন তাড়ানোর নামে মা-মেয়েকে হত্যা
 
								কুমিল্লায় এক কবিরাজের হাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন এবং তার মা তাহমিনা বেগম হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ঘটনার বিবরণ
গত ৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন সুজানগর এলাকার তাহমিনা আক্তার (৫২) এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৩), যিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে একজন হুজুরের আনাগোনা দেখে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মোবারক নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মোবারক স্বীকার করে যে, জিন তাড়ানোর কথা বলে সে সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। এ সময় তার মা তাহমিনা বেগম দেখে ফেলায় তাকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর সে সুমাইয়াকে গলা টিপে হত্যা করে।
একক আসামির পূর্বের অপরাধ
মোবারকের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এক সময় একটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে সে সৌদি আরবে পালিয়ে যায়। সম্প্রতি দেশে ফিরে সে একটি মাদ্রাসায় যোগ দিয়ে আবারও তার অপরাধমূলক কার্যক্রম শুরু করে।
গ্রেপ্তারের পর মোবারক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে সে মা ও মেয়েকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদন হাতে এলে তারা দ্রুত এই মামলার চার্জশিট দেবে এবং এই হত্যাকাণ্ডে মোবারক ছাড়া আর কেউ জড়িত নয়।
মোবারকের পূর্বের অপরাধের আরও কিছু তথ্য
২০২৩ সালের ২৪ জুন কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকার একটি মাদ্রাসায় মোবারক সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। বাধা দেওয়ায় সে ওই শিক্ষার্থীকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। সে সময় ওই ছাত্রী কোনোমতে তার হাত থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। মোবারক নিজেই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠাতা ছিল।
আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা
ভুক্তভোগী ও তার পরিচিতরা জানিয়েছেন, মোবারক মেয়েদের বশ করার জন্য 'কালো জাদু' করতেন। তার কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও আসতেন। তারা মাদ্রাসার জন্য চাল, তেল, চিনিসহ নানা জিনিসপত্র দিতেন, যা তাকে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে সাহায্য করে।
সোহাগ আহমেদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জাহান্নামমুখী ব্যাক্তির দুই রোগ লেগেই থাকে
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- দেশের বাজারে লাফিয়ে ২৪ হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
- যে চাকরি পাচ্ছেন বিয়ারিং পড়ে নিহত কালামের স্ত্রী
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- নতুন বেতন কাঠামোতে বড় সুখবর পাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীরা
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    