লালমনিরহাটে ধর্ম অবমাননাকারিদের রক্ষায় ভারতীয় "র" এর হস্তক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদন: লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোশালা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে চুল কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন পরেশচন্দ্র শীল ও তাঁর ছেলে বিষ্ণুচন্দ্র শীল। স্থানীয় মুসলমানরা অভিযোগ করেছেন, ২০০০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাবা–ছেলে ইসলাম ও হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তি ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য চালিয়ে এসেছেন।
জানতে পেরে স্থানীয়রা বহুবার এ ধরনের আচরণ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন, কিন্তু তাদের কাজেই কোনও পরিবর্তন ঘটে না। তারা চালিয়ে যান—“নবীজির অহিংসা বা চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভ্রান্তি ছড়ানো”—একধরনের উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য।
আন্তরিক হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, শোনানো হয়েছিল—“ওয়াজ মাহফিল” আয়োজন করে হেফাজত ও ধর্মীয় বয়ান প্রদানের কথা। তবে এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য ছিল, “দুনিয়ার টাকার জন্য এসব,”—যে কেউ ইসলাম বা মুসলমানদের সমস্যা নিয়ে কথা বলছে, শুধু ব্যবসার উদ্দেশ্য নিয়ে। তাদের দাবী, “চলমান কর্মে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা কে ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।”
বিষয়টি তীব্র উত্তেজনায় পৌঁছায়, বিশেষ করে ২০২৫ সালের ২০ জুন শুক্রবার। ঘটনাটি ঘটে ১৯ বছর বয়সী নাজমুল ইসলামের সঙ্গে ওদের দোকানে চুল কাটার সময়। কালব পরেশচন্দ্র ইসলাম ও নবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তিনি নবীর বিয়ে, কাবাঘর—সব সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর প্রস্তাব তুলে ধরেন।
নাজমুল নিজে বলেন—“চুল কাটার মাঝপথে উনি আমাকে প্রশ্ন করলেন, ‘নবীর নাম কি?’ আমি বললাম: হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এরপর অনুসন্ধান করলেন, ‘তাঁর কতটা স্ত্রী?’ যখন আমি বললাম ১১, তৎক্ষণাৎ বললেন—‘তাদের মধ্যে ছোট মেয়েটা জয়নাব? না, আয়েশা?’ এবং আরো অবমাননাকর প্রশ্ন তোলেন, ‘কি করে তিনি এতই কমবয়স্ক এক মেয়ের মধ্যে বিয়ে করলেন?’ এভাবে তরুণকে বিভ্রান্ত করে অব্যাহত কটুক্তি চালিয়ে যান।”
নাজমুল চুপ থাকার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরেশচন্দ্র অমন মনে গালিগালাজ চালিয়ে যান, এখানে পর্যন্ত বলেন: “তোমার দাড়ি রাখার প্রয়োজন নেই, যুবকের বয়সে দাড়ি রাখলে কী প্রয়োজন?”
অবশেষে নাজমুল তার নজর আটকে, অবমাননাকর কথাবার্তায় অস্থির হয়ে পড়ে, বাক্য না বলে উঠে যায়। এরপর দোকানে উত্তেজিত জনতা ভিড় জমান, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দোকানদার দলে ক্ষমা চাওয়া শুরু করেন, পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত হন।
থানায় তারা অস্বীকার করে বলেন, “আমরা এসব বলিনি,” ও “ভুল হয়েছে, ক্ষমা চাইছি।” তবে উপস্থিত এক মুখপাত্র জানান: “আমি স্বীকার করছি — ভুল হয়েছে।”
পরে অভিযোগ দায়ের করেন আজিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানাচ্ছেন, মামলা দায়েরের পর হুমকি ফোন আসছে—“ইসলামী জঙ্গি” পরিচয়ে, হত্যার হুমকি—দেশী ও বিদেশি নম্বর থেকে। স্থানীয়দের বক্তব্য, হুমকির বেশির ভাগ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসছে। সন্দেহ—“রয়”-এর এজেন্ট, ইসকনের কোনো সদস্যদের সাথে সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
পরেশ এর স্ত্রী বলেন মাত্র ১০ টাকা নিয়ে বিবাদ তৈরি করার নিতান্ত চেষ্টা করছেন, যা মিথ্যে রূপ দিচ্ছে পরিস্থিতিকে। পরেশের স্ত্রী গীতারণী শীল বলছেন: “কোনো হুমকি, গালাগালাজ হয়নি, আমি কিছুই জানি না।” তাদের পুত্রবধু বলছেন—“এই নাটক শুধু টাকা নিয়ে।”
স্থানীয় সমালোচকরা বলছেন নবী ও ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন; এজন্য স্পষ্ট ও কঠোর শাস্তির দাবি। তাদের উদ্বেগ, যদি জামিন পেয়ে পরেশ বা বিষ্ণু ছাড়া পায়, তাহলে ভারতীয় 'র'-এর হস্তক্ষেপ সংগঠিত হিংসা বা ধর্মীয় অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- ২৪ ঘন্টার মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ কমে গেল জ্বালানি তেলের দাম
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- লাফিয়ে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম