আয়াতুল্লাহ খামেনি কি সত্যিই মহানবী (সা.)-এর ৩৮তম বংশধর

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আজ শুধু ইরানের নয়, বরং মুসলিম বিশ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচিত। ইসরাইলবিরোধী অবস্থান, শিয়া-সুন্নি ঐক্যের ডাক এবং তার বংশপরিচয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বহু বিতর্ক ও আলোচনা রয়েছে।
১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই ইরানের মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন খামেনি। তার পিতা ছিলেন শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ সৈয়দ জাওয়াদ খামেনি। পারিবারিকভাবে তারা নিজেদের হোসাইনী সাইয়্যেদ বলে পরিচয় দেন—অর্থাৎ ইমাম হুসাইন (রা.)-এর বংশধর, যিনি ছিলেন মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর নাতি।
ইরান সরকার-প্রকাশিত জীবনী ও কিছু ঐতিহাসিক সূত্র মতে, খামেনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ৩৮তম বংশধর। শিয়া সম্প্রদায়ে ‘সাইয়্যেদ’ উপাধি মূলত এই বংশগত পরিচয়ের স্বীকৃতি বহন করে। যদিও এই দাবি ধর্মীয় বংশতালিকা ও ঐতিহ্যগত উৎসের ওপর নির্ভর করে তৈরি, তবুও আধুনিক কোনও বৈজ্ঞানিক যাচাই আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। তবে মুসলিম বিশ্বে এটি একটি প্রতীকী মর্যাদা বহন করে।
আয়াতুল্লাহ খামেনির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন ইসলামী বিপ্লবের অন্যতম নেতা এবং বিপ্লব-পরবর্তী ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি। ১৯৮৯ সালে আয়াতুল্লাহ খোমেইনির মৃত্যুর পর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তখন থেকেই ইরানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন।
শুধু শিয়া সম্প্রদায় নয়, খামেনি বহুবার মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি প্রকাশ্যে বলেন—শিয়া-সুন্নি বিভেদ ইসলামের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি শত্রুদের ষড়যন্ত্র। ২০১০ সালে ইসলামী ঐক্য সম্মেলনে এক ভাষণে তিনি বলেন, মুসলমানদের মধ্যে মিল ফারাকের চেয়ে অনেক বেশি, এবং সবাইকে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধারণ করতে হবে—এই বক্তব্যে তিনি সূরা আলে ইমরানের ১০৩ নম্বর আয়াত উল্লেখ করেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, বিশেষ করে প্রেস টিভি, আল-আলম ও তেহরান টাইমস-এর একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, খামেনি বারবার সৌদি আরব, মিশর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন সুন্নি দেশের আলেমদের সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৪ সালে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় তিনি প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেন এবং বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তি আজ ইসলামের রক্ষার সমার্থক। তবে তার এ অবস্থান সর্বত্র সমর্থন পায়নি। সৌদি আরব, বাহরাইনসহ সুন্নি নেতৃত্বাধীন কিছু দেশ ইরানের বিরুদ্ধে শিয়া সম্প্রসারণবাদের অভিযোগ এনেছে। পাশাপাশি তার শাসনামলে বিরোধীদের দমন ও একচেটিয়া ক্ষমতার চর্চার অভিযোগও রয়েছে।
তবুও আয়াতুল্লাহ খামেনি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চলেছেন এবং নিজেকে কোনও সম্প্রদায়ের একক নেতা নয়, বরং পুরো মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের দাবিদার হিসেবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন।
আশা/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ: জ্যোতিষী টিয়া পাখির ভবিষ্যদ্বাণী
- পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ডু অর ডাই ম্যাচ কোন দল জয়ী হবে জানালো জ্যোতিষী টিয়া
- গ্রেড অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ
- পাকিস্তান ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
- সরকারি চাকরিতে মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, কারা কত পাচ্ছেন
- পাকিস্তানকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ; সরাসরি দেখুন
- অবশেষে আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- এশিয়া কাপ সুপার ফোর পয়েন্ট টেবিল: কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান 'অঘোষিত সেমিফাইনাল': মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- দেশের বাজারে আজকের এক ভরি স্বর্ণের দাম
- আজকের সোনার বাজার: নতুন দামে নতুন রেকর্ড
- ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- ফাইনালের টিকিট পেতে টাইগারদের যা করতে হবে
- এমপিও শিক্ষকদের বাড়িভাড়া: শতাংশ হারে বাড়ানোর প্রস্তাব
- জমে উঠেছে বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ; সরাসরি দেখুন