যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ দাবি করেছেন, তাকে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত যখন বিএনপির বিরুদ্ধে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতির আন্দোলনে নেমেছিল, তখন তিনি ছিলেন যোগাযোগমন্ত্রী। সেই সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এক জনপ্রিয় টক শোতে অংশ নিয়ে অলি আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা তার চাচা হাফিজ ও আওয়ামী লীগ নেতা আ.খ.ম জাহাঙ্গীরকে তার বাসায় পাঠিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, সংসদে একটি ‘ক্যু’ হবে—যেখানে আওয়ামী লীগের ১৪৩ জন এবং বিএনপির ৪০ জন মিলে মোট ১৮৩ জন সদস্য মিলে খালেদা জিয়াকে সরিয়ে দিয়ে তাকে (অলি আহমদকে) প্রধানমন্ত্রী করা হবে।
তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তিন দিন আলোচনা হয়। প্রথমে তিনি রাজি ছিলেন। তবে তৃতীয় দিন রাতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তার ভাষায়, "আমি ভেবেছিলাম, বেগম জিয়া আমাকে মন্ত্রী করেছেন, আমি তার সঙ্গে বেঈমানি করতে পারি না। আমি জায়নামাজে গিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। এরপর আমি শেখ হাসিনাকে জানিয়ে দিই যে আমি এই প্রস্তাব নিতে পারছি না।"
অলি আহমদ আরও বলেন, "তখন রাত দেড়টায় আমাকে আবার হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। আমি দেখা করেছিলাম। তাকে বলি, আপনি আমাকে যোগ্য ভেবেছেন, এজন্য ধন্যবাদ। তবে আমি বিএনপির সঙ্গে বেঈমানি করব না। আমি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।"
শুধু ১৯৯৫ সালেই নয়, পরবর্তীতেও তাকে নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানান এলডিপি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমাকে মন্ত্রিত্ব, দুইটি আসন ও বিপুল অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। একই ধরনের প্রস্তাব আসে ২০১৮ সালেও। কিন্তু আমি প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
অলি আহমদ আরও দাবি করেন, "অনেককে একবার প্রস্তাব দিয়েই রাজি করানো গেলেও, আমি কখনো লোভে পড়িনি।"
উল্লেখ্য, কর্নেল অলি আহমদ বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ এই মুক্তিযোদ্ধা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠনের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার। পরবর্তীতে তিনি বিএনপি ত্যাগ করে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে যুক্ত হন। সেখান থেকেও আলাদা হয়ে পরে এলডিপি গঠন করেন।
গত এক যুগে বিএনপির স্বৈরাচারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ছিলেন অলি আহমদ।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ট্রাম্পের হুমকির পর অবিশ্বাস্য এক ঘোষণা দিলেন খামেনি
- আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির ভাগ্যে কত আসন, জানালেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী