হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র ঘৃণিত নারী স্বৈরশাসক হয়ে উঠলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে, শেখ হাসিনা একদিকে উন্নয়ন এবং অন্যদিকে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার শাসনকালে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের কথা শোনা গেলেও, সেই উন্নয়ন তার নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় হিসেবে শেখ হাসিনার শাসন গড়ে উঠেছে, যেখানে দেশবাসী তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অবহেলা প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি যেমন উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির কথা বলেছেন, তেমনি তিনি তার শাসনকে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করেছেন।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৮৬ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে, যেখানে তিনি জেনারেল এরশাদের সঙ্গে নির্বাচন অংশগ্রহণ করে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তার শাসন শুরু হয়, যা পরে দুর্নীতি, অপপ্রচার ও ভোট ডাকাতির মধ্যে পরিণত হয়। ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের পর তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান এবং তার স্থানে রেখে যান এক গুণ্ডামি শাসন।
মুখে উন্নয়নের কথা বললেও, হাসিনা বাস্তবে তার দলের সদস্যদের জন্য অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীরা দেশের অর্থনীতি লুণ্ঠন করেছে, আর দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার শাসন ব্যবস্থার অবমূল্যায়ন করেছে। বিরোধী মত দমন, গুম ও খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি।
এছাড়া, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্তর হামলা, এবং হেফাজত ইসলামের আলেমদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় হাসিনা এবং তার দলের নেতাকর্মীরা সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করার সুযোগ ছিল না।
তিনি নিজের বিরোধী মতের মানুষের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করেছেন। বিচার ব্যবস্থার উপর অগণতান্ত্রিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি তার শাসনকে দীর্ঘায়িত করেছেন। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে, ছাত্রজনতার উপর গুলি চালানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর এই হত্যাযজ্ঞের জন্য তার কোনো অনুশোচনা ছিল না।
অবশেষে, তাকে ‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’ বলার পেছনে কোনো যুক্তি নেই। তার কর্মকলাপে যতটা পাশবিকতা ছিল, তাতে তাকে ‘মাদার অফ ফ্যাসিজম’ বললে তাতে কোনো বিস্ময় হওয়ার কিছুই নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনার শাসন হলো এক নতুন ধরনের শাসন, যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ক্ষুন্ন হয়েছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যে ২ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেই ফেব্রয়ারিতে নির্বাচন
- হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জরুরি নির্দেশনা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- পাসপোর্ট পাবেন না যে তিন শ্রেণির লোক
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- এসএসসির ফল প্রকাশ হতে পারে যেদিন
- ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হলো যাদের
- বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত যেদিন থেকে
- ৭টি অভ্যাস আপনাকে কখনোই ধনী হতে দেবে না!
- কালো জাদু কি সত্যিই কাজ করে!
- অবসর ভেঙে দলে ফিরতে পারেন বাংলাদেশের ২ ক্রিকেটার
- বাংলাদেশে আজ ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- এবার ইসরায়েল খালি করার নির্দেশ
- ট্রাম্পের হুমকির পর অবিশ্বাস্য এক ঘোষণা দিলেন খামেনি