নিজের ক্রিকেট জীবনের গল্প বললেন মুশফিকুর রহিম

সদা হাস্যোজ্জ্বল এ মানুষটি ১৪ অক্টোবর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হন কিশোর আলো সাক্ষাৎকার দলের। বলেন ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ, পারিবারিক সহযোগিতাসহ ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা। কোন ম্যাচটি কখনও ভুলতে পারবেন না মুশফিকুর? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৭–এ ভারতের সঙ্গে বিশ্বকাপের গ্রুপ ম্যাচটি। আমার প্রথম বিশ্বকাপ। আমি অনেক উত্তেজিত ছিলাম। অপরাজিত অর্ধশতক করে সেবার অনেক ভালো খেলি। উইনিং শটটাও আমার ছিল। ওই ম্যাচটি কখনো ভুলব না।’
ছোটবেলায় ‘বড় হয়ে’ কী হতে চাইতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মুশফিকুর রহিম বলেন, ‘ছোটবেলায় ভাবিনি যে এটা হব বা ওটা হব না। খেলাধুলা করার ইচ্ছা ছিল প্রবল। পড়াশোনা খুব একটা ভালো লাগত না। তবে খেলোয়াড় হব, এ রকম ইচ্ছাও ছিল না। ছোটবেলা থেকে পাড়ায় ক্রিকেট খেলি। তখন শুধু ইচ্ছা ছিল যে খেলাধুলা করব, পাশাপাশি পড়াশোনা করব। তারপর কী হবে, সেটা পরের ব্যাপার। ২০০০ সালে ভর্তি হই বিকেএসপিতে। তখন থেকেই একটা স্বপ্ন ছিল যে আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলব। আস্তে আস্তে স্বপ্নটা বড় হতে থাকে। তবে এর আগে আসলে শুধু খেলার জন্যই খেলা শুরু করেছিলাম।’
ক্রিকেটে কীভাবে এসেছিলেন তার উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা পুরোটাই পরিবারের সহযোগিতা বলে আমি মনে করি। বিকেএসপি নামে যে এমন একটা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে শুধু খেলাধুলাকেই অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়, এটা আসলে আমি জানতাম না। বাবাই এটার প্রথম খোঁজ নেন। বাবার কাছে অনেক অভিযোগ আসত, আমি পড়াশোনা কম করছি, শিক্ষকদের কথা শুনছি না। স্কুলে মাঝেমধ্যে যাই, আবার যাই না। তাই বাবা একটু চিন্তিতই ছিলেন আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে। এক আত্মীর মাধ্যমে তিনি যখন এই প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পেলেন, বললেন, যেহেতু আমার ছেলে একটু পাগলই, খেলাধুলার পেছনে দৌড়াদৌড়ি করে বেশি, তাহলে দেখি একটু চেষ্টা করে কিছু হয় কি না।
কারণ এইখানে তো ওর ভালো কিছু হচ্ছে না। পড়াশোনা করছে না। খেলাধুলাই করুক। বাবাই আসলে আমাকে বিকেএসপিতে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন। তারপর আমার পুরো পরিবারই আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। শুধু বাবা না, আমার মা, বড় ভাইবোনেরা, আমার চাচা-চাচিরা। আমি যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। প্রায় ৩০ জন একসঙ্গে থাকতাম। ওরাই অনেক সাহস জুগিয়েছে আমাকে। আর আমি মনে করি, যে কারোর জন্যই পরিবারের সহযোগিতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
উইকেটকিপার কেন হলেন তার উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটার পিছনে একটা গল্প আছে। ছোটবেলায় পাড়ায় পাড়ায় খেলতে যেতাম বড় ভাইদের সঙ্গে। কৃষ্ণপুর নামের একটা জায়গা আছে বগুড়ায়। ওখানে খেলতে গিয়েছিলাম। যে ভাইয়া নিয়মিত কিপিং করতেন, তিনি সেদিন করতে পারেননি। তখন খোঁজা হচ্ছিল কিপিং কে করতে পারে। আমি বললাম, দেখি আমি একটু চেষ্টা করে। ওই দিন আবার আমি দুইটা ক্যাচ খুব ভালো নিয়েছিলাম। বলতে পারো গোড়াপত্তনটা ওইখান থেকেই শুরু।
অন্তত কিপিংটায় ভালোই মজাই পেয়েছিলাম। এমন একটা কাজ, যেটা কিনা আমি করতে পারছি। কারণ, তখন আমার চেয়ে আমার ব্যাটই অনেক বড় ছিল। এই জন্য টিমে আমাকে নেওয়া হতো অন্তত যেন কিপিং করতে পারি। তখন থেকেই উত্সাহটা ওভাবে আসে। কিপিংয়ের ওপর জোরটা বেশি দেওয়া শুরু করি। কিপার–ব্যাটসম্যান হলে বা একটা অলরাউন্ডার হলে টিমে খেলার সুযোগটা খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। তো এটাই ইচ্ছা ছিল কোনো অলরাউন্ডার হওয়া যায় কি না।’
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- দেশের উন্নতিতে মানবিকতা ও শৃঙ্খলার গুরুত্ব: সেনাপ্রধান
- পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতে ৪টি খাবার: জেনে নিন কী খাবেন!
- দুবাইতে চুরি: ৫ প্রবাসীর যাবজ্জীবন ভিসা বাতিল ও কারাদণ্ড
- উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার আগে রহস্যময় ফেসবুক পোস্ট: নেপথ্যে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্রতারক চক্র
- দুই বিভাগে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস: সারাদেশে বর্ষণ অব্যাহত থাকবে
- বাংলাদেশের বাজারে আজ এক ভরি স্বর্ণের দাম
- টানা বৃদ্ধির পর কমলো সোনার দাম: প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ ১৫৭৪ টাকা হ্রাস
- নামাজের অবস্থায় বায়ু ত্যাগে ওযু নষ্ট হলে করণীয়
- সৌদি রিয়ালের বিনিময় রেটের বড় লাফ
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ বাড়ল সোনার দাম
- পাকিস্তানের বিপক্ষে ২য় টি টোয়েন্টিতে পালটে যাচ্ছে বাংলাদেশের একাদশ, দেখে নিন ম্যাচ সময়
- সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: শ্রীলঙ্কাকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে বাংলাদেশের দাপুটে জয়!
- মাইলস্টোন কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত: নিহত ৩২, আহত ১৬৫ জন
- রাশিয়ায় অর্ধশত আরোহী নিয়ে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কমিশন গঠিত