| ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২

জমির খতিয়ানে ভুল হলে যা করবেন

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ নভেম্বর ০৪ ২৩:০৪:৪৮
জমির খতিয়ানে ভুল হলে যা করবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জমির খতিয়ানে নামের বানান, দাগ নম্বর বা অংশের ভুল অথবা জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য কারও নামে খতিয়ান হয়ে যাওয়া—এগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যাগুলোর আইনি সমাধান থাকলেও তা অনেকের কাছে জটিল মনে হয়। তবে ভূমি মন্ত্রণালয় এখন সহজ পথ বাতলে দিয়েছে।

আইনি সমাধান: এসিল্যান্ড বরাবর ‘মিস কেস’

২০২১ সালের ২৯ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত গেজেট (রেকর্ড সংশোধন পরিপত্র নং ৩৪৩) অনুযায়ী, খতিয়ানের ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়াটি সহজ করা হয়েছে।

* আবেদন: ভুল সংশোধনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড-এর কাছে একটি 'মিস কেস' আবেদন করতে হবে।

* ফি ও নথি: সাধারণ সাদা কাগজে আবেদন লিখে তার সঙ্গে ২০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।

১. করণিক ভুল সংশোধন:

নামের বানান, অংশ বা দাগ নম্বরের মতো ছোটখাটো করণিক ভুলগুলো এসিল্যান্ড ১৯৫০ সালের State Acquisition and Tenancy Act-এর ১৪৩ ধারা এবং ১৯৫৫ সালের প্রজাস্বত্ব বিধিমালা-এর ২৩(৩) ধারা অনুযায়ী সংশোধন করতে পারেন।

২. জালিয়াতি ও প্রতারণা সংশোধন:

যদি কেউ প্রতারণা করে অন্যের নামে থাকা জমি নিজের নামে করে নেয়, সেক্ষেত্রেও এসিল্যান্ড বরাবর 'মিস কেস' দায়ের করে বাতিলের আবেদন করা যায়। ২৩(৪) ধারা অনুযায়ী তদন্ত ও শুনানির মাধ্যমে জালিয়াতি প্রমাণিত হলে আগের মালিকের নামে খতিয়ান ফিরিয়ে দেওয়ার আইনি সুযোগ রয়েছে।

খতিয়ানের মূল কপি হারিয়ে গেলে যা করবেন:

যদি খারিজ খতিয়ানের মূল কপি বা ডিসিআর হারিয়ে যায়, তবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে:

১. প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।

২. জিডি কপি ও ২০ টাকার কোর্ট ফি সহ এসিল্যান্ড অফিসে আবেদন করতে হবে।

৩. প্রমাণ পাওয়া গেলে নতুন খতিয়ানের আদেশ দেওয়া হয়।

৪. মাত্র ১০০ টাকা ফি দিয়ে নতুন খতিয়ান সংগ্রহ করা যায়, যার রশিদকে ডিসিআর বলা হয়।

অন্যান্য জরিপের খতিয়ান: নামজারি ছাড়া অন্যান্য জরিপের (যেমন S.A., C.S., R.S., B.S.) খতিয়ান হারিয়ে গেলে মৌজা নম্বর ও খতিয়ান নম্বর উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমে আবেদন করলেই তা সংগ্রহ করা সম্ভব।

সময়কাল ও প্রক্রিয়া:

নামজারি সংশোধনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সাধারণত ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় নিতে পারে।

১. আবেদন পাওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রতিবেদন চাওয়া হয়।

২. প্রতিবেদন এলে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে শুনানিতে ডাকা হয়।

৩. কোনো আপত্তি না থাকলে সংশোধিত খতিয়ান হস্তান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগীদের দাবি:

যদিও গেজেটে সহজ পদ্ধতি ঘোষণা করা হয়েছে, বাস্তবে অনেক সময় ভূমি অফিসে অনীহা দেখা যায় এবং সাধারণ মানুষকে আদালতের দ্বারস্থ হতে বলা হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি, সরকার যেহেতু সহজ পদ্ধতি এনেছে, তা যেন মাঠ পর্যায়ে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়, যাতে জনগণ হয়রানির শিকার না হন।

আশা/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

বিগ ব্যাশেরদ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে রিশাদের ঝলক

বিগ ব্যাশেরদ্বিতীয় ম্যাচেও বল হাতে রিশাদের ঝলক

বিগ ব্যাশে রিশাদের টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সাফল্য, তবে জয় পেল মেলবোর্ন নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী বিগ ...

চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ; সরাসরি দেখুন এখানে

চলছে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচ; সরাসরি দেখুন এখানে

নিজস্ব প্রতিবেদক: শুরু হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের অঘোষিত ‘কোয়ার্টার ফাইনাল’। সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত ...

ফুটবল

বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স

বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স

বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে নিজেদের ঝালিয়ে ...

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, যেভাবে দেখবেন

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, যেভাবে দেখবেন

যুব এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান (১৩ ডিসেম্বর) নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রিকেটে তারুণ্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ...