নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে তিন ধাপের নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
সরকারি কর্মচারীদের বেতন নিয়ে সুখবর: তিন ধাপে আসছে পে-স্কেল
নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নবম জাতীয় বেতন স্কেল নিয়ে জাতীয় বেতন কমিশনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা স্থায়ী এই সভায় পে-স্কেলের খসড়া সুপারিশমালা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রাথমিক ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের তৈরি করা খসড়া প্রতিবেদনের ওপর দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সংশোধনীর প্রস্তাব আনা হয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেওয়ার আগে পূর্ণ কমিশনের আরও অন্তত তিনটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কমিশন আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই চূড়ান্ত সুপারিশমালা জমা দিতে সক্ষম হবে।
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও ধাপসমূহ
নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়নের জন্য একটি ত্রি-স্তরীয় পদ্ধতির রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ধাপে কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে পেশ করবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রতিবেদনটি সচিব কমিটিতে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হবে। সর্বশেষ ধাপে, সচিব কমিটির অনুমোদন পাওয়ার পর তা উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে, যেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর সরকারি গেজেট জারি করা হবে।
বাস্তবসম্মত সুপারিশের নিশ্চয়তা
সভায় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানিয়েছেন, বেতন ও গ্রেড সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকায় এ বিষয়ে এখনই সুনির্দিষ্ট কোনো অংক প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, কোনো কাল্পনিক বা অতিরঞ্জিত সুপারিশ করা হবে না। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করে একটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও টেকসই কাঠামো প্রস্তাব করা হবে।
আন্দোলনকারীদের কৌশলগত পরিবর্তন
সম্প্রতি সচিবালয়ের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজপথের আন্দোলনের পরিবর্তে তারা এখন আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায়ের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং চাকরির বিধিমালা মেনেই তাদের দাবিগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরবেন।
কমিশনের দায়িত্ব ও সময়সীমা
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গত জুলাই মাসে জাকির আহমেদ খানের নেতৃত্বে এই বেতন কমিশন গঠন করে দেয়। কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের বর্তমান কর্মতৎপরতা অনুযায়ী, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল আপডেট: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
- নবম পে-স্কেল: গেজেট নেই, ১৮ ডিসেম্বর নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- নতুন পে-স্কেল আপডেট: গেজেট প্রকাশ নিয়ে যা ভাবছে সরকার
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- আইপিএল নিলাম ২০২৬: এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা, মুস্তাফিজের অবস্থান কি
- Ipl Auction 2026: মুস্তাফিজের দিকে নজর ৫ দলের
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: দ্বিগুণ হলো ভাতা
- পে-স্কেল কমিশনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষ; আসছে সুখবর!
- তিন ধাপে নবম পে-স্কেল: ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
