সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি নতুন পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পূর্বের নির্দেশনা লঙ্ঘনের অভিযোগ
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সম্প্রতি জারি করা এ পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণে অর্থ বিভাগ এবং কার্যালয়ের পূর্বের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না।
এতে উল্লেখ করা হয়, জারিকৃত পরিপত্রগুলোর নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। উদাহরণস্বরূপ:
* একই সময়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব উভয়েই বৈদেশিক সফরে যাচ্ছেন।
* একই মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন।
কার্যালয় জানায়, এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে, যা পূর্বের নির্দেশনাসমূহের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
নতুন নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে
এই অনিয়ম বন্ধে পূর্বের সব নির্দেশনাগুলো মেনে চলার পাশাপাশি এখন থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া কোনো ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পরিহারের জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব এবং উপদেষ্টাদের একান্ত সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিদেশ ভ্রমণে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৫ নির্দেশনা
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করেছিল সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ:
১. যোগাযোগের মাধ্যম: কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সরাসরি পত্র যোগাযোগ না করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব বা দপ্তর/সংস্থা প্রধানের মাধ্যমে পত্র যোগাযোগ করবেন।
২. আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ: মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমন্ত্রণপত্র সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৩. নিয়ন্ত্রণকারীকে অবহিতকরণ: সব কর্মকর্তাকে বিধি মোতাবেক বিদেশ যাত্রার পূর্বে নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
৪. পূর্বানুমতি: বিদেশি সংস্থার সঙ্গে আমন্ত্রণ বিষয়ক যেকোনো যোগাযোগের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের (সচিব বা দপ্তর/সংস্থা প্রধান) পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।
৫. পেশাগত প্রাসঙ্গিকতা: বিদেশি সংস্থা থেকে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে প্রাপ্ত আমন্ত্রণপত্রের প্রেক্ষিতে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার আগে বর্ণিত ইভেন্ট/সভা/সেমিনারের সঙ্গে পেশাগত উন্নতি, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাজ ও উদ্দেশ্য এবং জনস্বার্থের কোনো সংযোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে হবে।
রাকিব/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে কিনা জানাল ভারত
- নতুন পে-স্কেল নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে গেল
- মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, কখন ও কিভাবে দেখবেন
- আজ রাত ৮টায় বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী
- সহজে যেভাবে দেখবেন বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি ২১ ক্যারেট সোনার দাম
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৮ নভেম্বর ২০২৫
- আগামীকাল গণপরিবহন চলবে কিনা, যা জানা গেল
- আজকের সোনার বাজারদর: ১৭ নভেম্বর ২০২৫
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- সারাদেশে শীতের মাঝেই বৃষ্টির আভাস
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগে শেখ হাসিনার অডিও বার্তা
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ব্রাজিল বনাম ফ্রান্স: জেনেনিন ফলাফল
- পে-স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
