
সোহাগ আহমদে
সিনিয়র রিপোর্টার
কিম যেভাবে উত্তর করিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে

২০১৬ সালে পিয়ংইয়াং থেকে একটি প্রচার পোস্টার চুরির অভিযোগে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অটো ওয়ার্মবিয়ারকে গ্রেপ্তার করে উত্তর কোরিয়া। মাত্র এক ঘণ্টার বিচারে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে কোমা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর পর তিনি মারা যান। এই ঘটনাটি উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষের ভয়াবহ জীবনযাত্রার এক ইঙ্গিত।
উত্তর কোরিয়া একনায়কতান্ত্রিক কিম রাজবংশের শাসনাধীন। জাপানের শাসন শেষে কোরিয়া বিভক্ত হলে, কিম ইল সাংয়ের হাত ধরে এই রাজবংশের শুরু। বর্তমানে কিম জং উন এই শাসনের প্রধান। এই শাসন ব্যবস্থায় আইন ও পাগলামির মধ্যে কোনো তফাৎ নেই।
নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধ
উত্তর কোরিয়ায় নাগরিকদের জীবন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত:
* পোশাক ও সংস্কৃতি: সানগ্লাস, জিন্স, চুলে রং করা বা নিজস্ব স্টাইল নিষিদ্ধ। সরকার অনুমোদিত নির্দিষ্ট স্টাইলই মানতে হয়।
* মিডিয়া ও তথ্য: ইন্টারনেট নেই, শুধু অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। বাইরের কোনো মিডিয়া, যেমন দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়েব সিরিজ বা হলিউডের সিনেমা দেখলে শ্রম শিবিরে পাঠানো হয়।
* প্রচার ও আনুগত্য: রেডিও, টেলিভিশন—সবকিছুতেই কিম রাজবংশের প্রশংসা ও পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করা হয়।
* ভ্রমণ ও সম্পত্তি: এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতেও সরকারি অনুমতি লাগে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা মালিকানা বলে কিছু নেই; জমি, ঘর, দোকান—সবই রাষ্ট্রের।
* ধর্ম ও শাস্তি: ধর্ম পালন করা নিষিদ্ধ। সরকার বা কিম পরিবারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শুধু সেই ব্যক্তি নয়, তার পুরো পরিবারকে তিন প্রজন্ম পর্যন্ত শাস্তি দেওয়া হতে পারে।
ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যবস্থা
উত্তর কোরিয়ার সমাজ গড়ে উঠেছে 'সঙ্গুন' (Songbun) ক্লাস সিস্টেমের ভিত্তিতে, যা ব্যক্তির যোগ্যতা নয়, বরং পূর্বপুরুষের আনুগত্যের ওপর ভিত্তি করে ভাগ্য নির্ধারণ করে।
শ্রেণীবিন্যাস: * কোর ক্লাস: কিম পরিবারের বিপ্লবে অংশ নেওয়া অনুগত পরিবার, যারা সব সুবিধা পায়। * ওয়েভারিং ক্লাস: সাধারণ শ্রমিক ও কৃষক। * হোস্টাইল ক্লাস: যাদের পূর্বপুরুষ ধর্মে বিশ্বাসী ছিল বা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তারা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকে।
* নজরদারি: সরকারি গোয়েন্দারা প্রতিবেশী সেজে নাগরিকদের ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখে। কেবল কাজ নয়, সন্দেহজনক চিন্তার জন্যও শাস্তি হতে পারে।
* ক্যালেন্ডার: বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যেখানে গ্রেগরীয় ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে, সেখানে উত্তর কোরিয়া কিম ইল সাংয়ের জন্মসাল (১৯১২) থেকে শুরু হওয়া জুচে ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে।
এই কঠোর শাসনব্যবস্থা বহির্বিশ্বের কাছ থেকে দেশকে পুরোপুরি আড়াল করে রাখে। এই নিঃশব্দ বন্দিদশার সত্যতা বাইরে আসে শুধু সীমান্ত পেরিয়ে পালাতে পারা কিছু সাহসী মানুষের মাধ্যমে।
সোহাগ আহমেদ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ: জ্যোতিষী টিয়া পাখির ভবিষ্যদ্বাণী
- গ্রেড অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ
- পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ ডু অর ডাই ম্যাচ কোন দল জয়ী হবে জানালো জ্যোতিষী টিয়া
- সরকারি চাকরিতে মহার্ঘ ভাতা: গ্রেড অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, কারা কত পাচ্ছেন
- সরকারি কর্মচারীদের ছুটিতে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৫ দিন
- আজ পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশের ফাইনাল
- পাকিস্তান ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
- অবশেষে আরব আমিরাতের ভিসা নিয়ে বড় সুখবর
- এশিয়া কাপ সুপার ফোর পয়েন্ট টেবিল: কঠিন সমীকরণে বাংলাদেশ
- ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ, মোবাইলে যেভাবে দেখবেন
- বাবার সম্পত্তি নিজ নামে নামজারি না করলে যেসব বিপদে পড়বেন
- ফাইনালের টিকিট পেতে টাইগারদের যা করতে হবে
- জমে উঠেছে বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ; সরাসরি দেখুন
- এমপিও শিক্ষকদের বাড়িভাড়া: শতাংশ হারে বাড়ানোর প্রস্তাব
- ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সেরা একাদশ