
আশা ইসলাম
রিপোর্টার
বিপদে পড়ে সুদে টাকা নিলে কি গুনাহ হবে!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামে সুদ বা 'রিবা' একটি বড় ধরনের গুনাহ। তবে অনেক সময় মানুষ জরুরি প্রয়োজনে বা বিপদে পড়ে সুদে টাকা নিতে বাধ্য হয়। এমন পরিস্থিতিতে কি সুদ নেওয়া বা দেওয়া জায়েজ হবে? এই বিষয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সুদ কি সব অবস্থায় হারাম?
শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, ইসলামে সুদের বিধানটি অত্যন্ত কঠোর। আল্লাহ কোরআনে ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। এটি এমন একটি গুনাহ, যা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে। তাই সাধারণত যেকোনো পরিস্থিতিতে সুদে লেনদেন করা সম্পূর্ণভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ।
প্রয়োজন বনাম অপরিহার্যতা
বিপদে পড়ার বিষয়টি দু'ভাবে দেখা যেতে পারে:
১. জরুরি প্রয়োজন (হাজাহ): এটি এমন পরিস্থিতি যেখানে মানুষ আর্থিক সংকটে পড়ে, যেমন: ব্যবসা শুরু করা, বাড়ি কেনা বা সন্তানের বিয়ে দেওয়া। এই ধরনের প্রয়োজনগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও জীবনের জন্য অপরিহার্য নয়। শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, এই ধরনের প্রয়োজনের জন্য সুদে টাকা নেওয়া জায়েজ নয়। কারণ ইসলামে এই ধরনের সমস্যার জন্য বিকল্প পথ (যেমন: কর্জ হাসানা বা সুদমুক্ত ঋণ) রয়েছে।
২. অপরিহার্য বাধ্যবাধকতা (দারুরাহ): এটি এমন পরিস্থিতি যেখানে জীবন ঝুঁকির মুখে থাকে। যেমন: কেউ মারাত্মক অসুস্থ এবং সুচিকিৎসার জন্য জরুরিভাবে অর্থের প্রয়োজন, যা না পেলে তার জীবনহানি হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিকে ইসলামে 'দারুরাহ' বা 'অপরিহার্য বাধ্যবাধকতা' হিসেবে ধরা হয়। শায়খ আহমাদুল্লাহর মতে, শুধুমাত্র এমন চরম পরিস্থিতিতে, যখন অন্য কোনো বৈধ পথ খোলা নেই, তখন জীবন বাঁচাতে সুদে টাকা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এটি একটি ব্যতিক্রমী বিধান এবং এর অপব্যবহার করা উচিত নয়।
ইসলামে এর বিকল্প কী?
ইসলাম বিপদে পড়া মানুষের জন্য সুদের বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু বৈধ পথ দেখিয়েছে। যেমন:
* কর্জ হাসানা (সুদমুক্ত ঋণ): সামর্থ্যবান মুসলমানরা বিপদগ্রস্তদের কোনো ধরনের সুদ ছাড়াই কর্জ হাসানা দিতে উৎসাহিত হয়েছেন।
* যাকাত ও সদকা: সমাজের ধনী ব্যক্তিদের যাকাত ও সদকার মাধ্যমে দরিদ্র ও অভাবী মানুষদের সাহায্য করা হয়, যা তাদের আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন- হঠাৎ মৃত্যু কিসের লক্ষণ ভালো না খারাপ
আরও পড়ুন- ইসলামে জমি বন্ধক রাখা কখন হালাল
সুতরাং, শায়খ আহমাদুল্লাহর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কেবল জীবন রক্ষার মতো চরম অপরিহার্য পরিস্থিতিতেই সুদের বিষয়টি সীমিত পরিসরে বিবেচনা করা যেতে পারে। সাধারণ আর্থিক সংকট বা প্রয়োজন সুদে লেনদেনকে জায়েজ করে না।
আশা ইসলাম/
আপনার ন্য নির্বািত নিউজ
- একশনে নামবে সেনাবাহিনী যে ঘোষণা দিলেন সেনাপ্রধান
- নিজের পদত্যাগের সময় জানালেন ড. ইউনূস
- মোবাইলের ডায়াল প্যাড পরিবর্তন: আগের অবস্থায় ফিরবেন যেভাবে
- ১৬ বছরের হারানো ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে সেনাবাহিনী
- হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হল ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ
- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেন শেখ হাসিনা
- ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ ভারত বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখুন
- সারাদেশে ভাইরাস জ্বর; দ্রুত সেরে ওঠার ৫ উপায়
- ১২০ টাকায় ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ, ভারত বনাম বাংলাদেশ হাইভোল্টেজ ম্যাচ
- দেশের বাজারে আজকের স্বর্ণের দাম
- বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়
- এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের সম্ভব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড
- কবে সরকার থেকে বিদায় নেবেন ড. ইউনূস, জানালেন নিজেই
- মাউশির নতুন নিয়ম: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন যেভাবে