রপ্তানিতে ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা, ৪ পণ্যে ধাক্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে আবারও নতুন বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এবার আরও চারটি পাটজাত পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। এখন থেকে এই পণ্যগুলো শুধু মুম্বাইয়ের একটি নির্দিষ্ট সমুদ্রবন্দর দিয়েই পাঠানো যাবে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য খরচ এবং সময় দুটোই বাড়িয়ে দেবে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, পাটের বস্তা ও ব্যাগ, পাটের বোনা কাপড় এবং দুই ধরনের পাটের সুতা কর্ডেজ দড়ির মতো পণ্যগুলো এখন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢোকার অনুমতি পাবে না। গত ছয় মাসে এটি চতুর্থবারের মতো এমন নিষেধাজ্ঞা, যা বাংলাদেশের পাটশিল্পকে গভীর সংকটে ফেলছে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ এই পরিস্থিতিকে 'সাপে বর' হিসেবে দেখছেন। তাঁর মতে, ভারতের এমন বিধিনিষেধের কারণে বাংলাদেশ এখন বিকল্প বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। দেশের ভেতরে পাটের ব্যবহার বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মানের বহুমুখী পাটপণ্য তৈরি করে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আবারও অস্থির পেঁয়াজের বাজার
তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, নতুন এই নিয়ম তাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সংগঠনের সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না জানান, স্থলপথের সুবিধা হারিয়ে সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে গেলে পরিবহন ব্যয় চার গুণ এবং সময় দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এতে ভারতীয় বাজার এখন আর লাভজনক থাকছে না।
তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে সরকারের উচিত কাঁচাপাট রপ্তানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে উন্নতমানের ও বহুমুখী পাটপণ্য তৈরিতে জোর দেওয়া, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের পাটশিল্পের জন্য সুফল বয়ে আনবে। ভারতের এই একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশের পাটশিল্পের ভবিষ্যৎ এখন নতুন কৌশল এবং বিকল্প বাজারের ওপর নির্ভরশীল।
FAQ ও উত্তর:
ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কোন কোন পণ্যের ওপর?
উত্তর: পাটের বস্তা ও ব্যাগ, পাটের বোনা কাপড় এবং দুই ধরনের পাটের সুতা (কর্ডেজ দড়ি সহ) স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এখন থেকে এসব পণ্য কীভাবে ভারতে পাঠানো যাবে?
উত্তর: শুধু মুম্বাইয়ের একটি নির্দিষ্ট সমুদ্রবন্দর দিয়েই এসব পণ্য পাঠানো যাবে।
এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব রপ্তানিকারকদের ওপর কেমন হবে?
উত্তর: সমুদ্রপথে পাঠাতে হলে পরিবহন ব্যয় চার গুণ এবং সময় দ্বিগুণ বেড়ে যাবে, ফলে ভারতীয় বাজার কম লাভজনক হয়ে উঠবে।
গত ছয় মাসে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কতবার হয়েছে?
উত্তর: গত ছয় মাসে এটি চতুর্থবারের মতো নিষেধাজ্ঞা, যা বাংলাদেশের পাটশিল্পকে চাপে ফেলছে।
সরকার ও শিল্পপতিরা কী বিকল্প ভাবছেন?
উত্তর: বিকল্প বাজার খোঁজা, দেশের ভেতরে পাটের ব্যবহার বাড়ানো, বহুমুখী ও আন্তর্জাতিক মানের পাটপণ্য তৈরি করে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে প্রবেশের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সুদানে বিমান হামলায় নিহত ৪০ আমিরাতি ভাড়াটে সেনা
- কপালে কালো দাগ হওয়া কিসের লক্ষণ
- দেশের বাজারে আজ এক ভরি সোনার দাম
- নতুন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসছে আওয়ামী লীগ
- বাংলাদেশ বনাম কোরিয়া, লাইভ দেখবেন যেভাবে
- আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে মমতা
- হাত-পায়ের এই ৭ লক্ষণ কিডনি নষ্টের ইঙ্গিত
- ৮০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৩ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ
- ৯০ মিনিটে কোরিয়ার বিপক্ষে ১-৬ গোলে হারল বাংলাদেশ
- শেষ হল বাংলাদেশ বনাম তিমুর লেস্তে ম্যাচ, দেখে নিন ফলাফল
- ৯০ বছর ধরে হাতুড়ির বদলে গ্রেনেড ব্যবহার!
- দুটি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন সন্তানের উপর বদনজর পড়ছে
- তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা বাদ আনিসার
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ কোরিয়া: লাইভ দেখবেন যেভাবে
- ফের পেঁয়াজের দাম লাগামহীন