ড. ইউনূসকে সরালে আসলে লাভবান হবে কে!

নিজস্ব প্রতিবেদক; বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ৫ আগস্ট হয়ে উঠেছে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা। এদিন দেশজুড়ে জনতার ঢল নামে—ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একত্র হয় একটি অভিন্ন দাবিতে: পরিবর্তনের।
৫ আগস্টের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে দেশের রাজপথে দেখা যায় ৭১ পরবর্তী বৃহৎ জনস্রোত। দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রূপ নেয় প্রত্যয়ের আন্দোলনে। স্বৈরশাসনের অবসানের পর বাংলাদেশে শুরু হয় এক নতুন সময়ের যাত্রা—নতুন স্বপ্ন, নতুন প্রত্যাশা।
এই উত্তাল সময়ে সামনে আসে একটি বড় প্রশ্ন: কে নেবে দেশের হাল? কে নেতৃত্ব দেবেন এক বিপর্যস্ত রাষ্ট্রকে স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বে?
আন্দোলনের অগ্রনায়করা সেদিন তাকান এক অভিজ্ঞ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিত্বের দিকে—নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি। তার নেতৃত্বে আস্থা রাখেন তারা। দেশের অর্থনীতিতে, প্রশাসনিক দক্ষতায় এবং আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতায় ড. ইউনূস হয়ে ওঠেন অনেকের কাছে সম্ভাবনার প্রতীক।
ড. ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই দেশের অর্থনীতি কিছুটা প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক সাড়া দেখা যায়, বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয় এবং আইনশৃঙ্খলাতেও আস্থার কিছু চিহ্ন দেখা যেতে থাকে।
তবে, এই পরিবর্তনের ধারায় অসন্তুষ্ট কিছু দেশ ও শক্তিও রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব রেখে আসা প্রতিবেশী ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউনূস যদি নেতৃত্বে থাকেন, তবে বাংলাদেশের ওপর ভারতের একচেটিয়া প্রভাব খর্ব হতে পারে—এই শঙ্কা থেকেই কিছু কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে কিছু মহল এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে চায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো বুঝে ফেলেছে—ড. ইউনূসকে সরালে শুধু রাজনৈতিক ক্ষতিই হবে না, এর প্রভাব পড়বে সমাজে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও। তাই অধিকাংশ মানুষ এখন চাইছে—আসন্ন নির্বাচন হোক সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং ড. ইউনূসের নিরপেক্ষ নেতৃত্বের অধীনেই।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের ওপর। এই মুহূর্তে অনেকেই মনে করছেন, সেই দায়িত্বে ড. ইউনূস এখনো সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন কত টাকা বেতন বাড়লো
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল চীন
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক