বাংলাদেশকে নিরাপদ ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশসহ সাতটি দেশকে ‘নিরাপদ’ বলে চিহ্নিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এই তালিকায় আরও রয়েছে ভারত, মিশর, তিউনিসিয়া, মরক্কো, কসোভো ও কলম্বিয়া। এই সিদ্ধান্তের ফলে এসব দেশ থেকে ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের ফাইল দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে এবং অধিকাংশ আবেদন বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, ২০২৬ সালের জুন থেকে যেসব অভিবাসন আইন কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, তার কিছু অংশ আগেভাগেই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার আওতায় যেসব দেশের নাগরিকদের আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম—তাদের আবেদন ৩ মাসের মধ্যেই নিষ্পত্তি করা হবে।
কমিশনের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আশ্রয় প্রক্রিয়া আরও কার্যকর ও দ্রুতগতির হবে। কারণ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যাদের দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে ২০ শতাংশেরও কমকে বাস্তবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়।
২০২৪ সালে ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে ৪৩ হাজার ২৩৬ জন আশ্রয়ের আবেদন করেন, কিন্তু সফলতার হার ছিল মাত্র ৩.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৯৬ শতাংশ আবেদনই বাতিল হয়। এর ফলে বাংলাদেশ এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সেই তালিকায় রয়েছে, যেখান থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন ‘ভিত্তিহীন’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং দ্রুত নিষ্পত্তি করে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো দুইটি নীতিমালা আগেভাগেই চালু করতে যাচ্ছে:
১. যেসব দেশ থেকে আসা আবেদনকারীদের সফলতার হার ২০ শতাংশের নিচে, সেসব দেশ থেকে আগতদের জন্য সীমান্ত প্রক্রিয়া বা দ্রুত প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে।
২. নির্দিষ্টভাবে ‘নিরাপদ উৎস দেশ’ ও ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশ’ হিসেবে দেশগুলোকে চিহ্নিত করে সেখানকার সাধারণ জনগণ বা আলাদা বিভাগহীনভাবে আবেদনকারীদের দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়া যাবে।
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন অভিবাসন বিষয়ে কাজ করা শরীফুল হাসান বলেন, “নিরাপদ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে তালিকাভুক্ত করায় ইউরোপে আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা আরও কমে গেল। অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা বা নির্যাতনের কারণে যারা আশ্রয় চাইতেন, এখন তাদের ক্ষেত্রেও সেই সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদিও বাস্তবতা হচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষ কাজের জন্য ইউরোপে গিয়ে বলে, তারা দেশে নিরাপদ নয়। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো এই যুক্তিকে গ্রহণ করছে না।”
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই তালিকাকে ইতালির বড় সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ, মিশর ও তিউনিশিয়ার মতো দেশকে নিরাপদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা রোমের অভিবাসন নীতির সঠিক দিক নির্দেশ করে।
তবে ইউরোপীয় বিচার আদালত ইতিপূর্বে সতর্ক করে বলেছে, কোনো দেশকে নিরাপদ বললেও যদি তার সব অঞ্চল বা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় নিরাপদ না থাকে, তাহলে সেই দেশকে এককভাবে নিরাপদ ঘোষণা করা ঠিক নয়।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তাবটি এখন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও সদস্য দেশগুলোর অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু মানবাধিকার সংস্থা এই পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ এটি বাস্তব বিপদে পড়া মানুষদের আশ্রয় পাওয়ার সুযোগ সীমিত করতে পারে।
রাকিব/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
- এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা
- নবম বেতন কাঠামো আসছে ৩ ধাপে, সুবিধা শুরু ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে
- নবম পে স্কেল: পর্দার আড়ালে উচ্চপর্যায়ের তৎপরতা, চূড়ান্ত কাঠামো নিয়ে গোপন প্রস্তুতি
- পে স্কেল ডেডলাইন শেষ, কর্মচারীদের আন্দোলন নিয়ে যা বলছে কমিশন
- ব্রাজিল বনাম বাংলাদেশ: লাতিন বাংলা সুপার কাপের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি ঘোষণা
- পে-স্কেল চূড়ান্তের পথে: 'আকাশচুম্বী নয়, বাস্তবসম্মত বেতন কাঠামো'র সুপারিশ
- বিমানবন্দরে তারেক রহমানের ভিডিও, যা জানা গেল
- পে-স্কেল নিয়ে অচিরেই চূড়ান্ত সুপারিশ
- ৭০ সচিবের মতামত চূড়ান্ত: নবম পে-স্কেলের সুপারিশ আসছে ডিসেম্বরে
- টিউলিপের কারণেই দেশে আসতে পারছেন না তারেক রহমান
- আজকের সোনার বাজারদর: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থার নিয়ে যা জানাল বিএনপি
- নবম পে স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তা: সর্বশেষ যা জানা গেলো
- তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যে তথ্য দিলেন মির্জা ফখরুল
