| ঢাকা, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হত্যায় ভারতের হাত

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ মার্চ ২৬ ১১:২৭:৫২
চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস: বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হত্যায় ভারতের হাত

নিজস্ব প্রতিবেদক: হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা বিশ্বে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা সবার জানা, তবে ইতিহাস ঘেঁটে আরও একটি অজানা সত্য বেরিয়ে এসেছে, যা শোচনীয় এবং চাঞ্চল্যকর।

মহান মুক্তিযুদ্ধে, যেখানে ভারত বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিল, সেখানে তার কিছু কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক ছিল। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ভারতের কিছু অতি সুক্ষ্ম রাজনৈতিক চক্রান্ত বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, এমনকি বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের শহীদ হওয়া এবং বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জাহাজ ডুবিয়ে দেয়ার ঘটনাও তেমন এক উদাহরণ।

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন মুক্তিযুদ্ধে মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে সক্রিয় অংশ নেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের আগরতলায় ১০ নম্বর নৌ সেক্টর গঠন করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সেখানে যোগদান করেন এবং ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মনীন্দ্রনাথ সামন্তের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে দুটি গানবোর্ড উপহার দেয়। এই গানবোর্ডের নাম রাখা হয় পদ্মা এবং পলাশ। রুহুল আমিন ছিলেন পলাশের প্রধান ইঞ্জিন রুমের দায়িত্বে।

৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বে যশোর সেনানিবাস পতন হয়। পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে থাকে এবং মুক্তিযোদ্ধারা মংলা বন্দরের দিকে এগিয়ে যায়। ১০ ডিসেম্বর, খুলনার নৌঘাট দখলের উদ্দেশ্যে পদ্মা ও পলাশ গানবোর্ড মংলা বন্দরের দিকে রওনা দেয়।

তবে এই যাত্রায় এক ভয়ানক ভুল হয়ে যায়। ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি জঙ্গি বিমান মুক্তিযুদ্ধের জাহাজগুলোর দিকে ছুটে আসলে, মুক্তিযোদ্ধারা তা পাকিস্তানি বিমান মনে করে গুলি চালানোর অনুমতি চায়। কিন্তু ক্যাপ্টেন মনীন্দ্রনাথ সামন্ত ভারতীয় বিমান জানিয়ে গুলিবর্ষণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কয়েক মিনিট পর, ওই বিমানগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে নীচে নেমে আসে এবং গোলাবর্ষণ শুরু করে। এতে পদ্মা ও পলাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

গোলার আঘাতে পলাশের ইঞ্জিন রুম বিধ্বস্ত হয়ে যায়, এবং বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ডান হাত পুরোপুরি উড়ে যায়। তবুও তিনি চেষ্টা চালিয়ে যান, কিন্তু ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুন ধরে যায় এবং অবশেষে পলাশ ধ্বংস হয়ে যায়। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন এক হাত হারিয়ে রূপসা নদীতে ঝাঁপ দেন, কিন্তু সেখানে তাকে রাজাকারদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়।

রাজাকাররা তাকে হত্যা করে এবং তার মরদেহ অযত্নে পড়ে থাকে। পরে স্বাধীনতার পর, বাগমারা গ্রামের স্থানীয় জনগণ রুহুল আমিনের মরদেহ দাফন করেন রূপসা নদীর পাড়ে এবং সেখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ তারিখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাতজন বীর সন্তানকে মরণোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেয়া হয়, যার মধ্যে রুহুল আমিনও ছিলেন।

এই ঘটনা ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর অধ্যায়, যা ভারতের পলাতক চক্রান্ত ও বাংলাদেশের প্রতি তার দ্বিচারিতা প্রকাশ করে।

সোহাগ/

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

টি-টোয়েন্টিতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি বাংলাদেশ, একাদশে থাকবেন কারা?

টি-টোয়েন্টিতে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি বাংলাদেশ, একাদশে থাকবেন কারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়ানডে সিরিজে দারুণ সাফল্যের পর এবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্যারিবীয়দের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ...

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি টোয়েন্টিতে যে একাদশ নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি টোয়েন্টিতে যে একাদশ নিয়ে খেলবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক::ওয়ানডে সিরিজে দাপুটে জয়ের পর এবার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের পালা। তিন ম্যাচের ...

ফুটবল

কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ড ম্যাচ: সরাসরি যেভাবে দেখবেন

কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ড ম্যাচ: সরাসরি যেভাবে দেখবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার পালা প্রায় শেষ! আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে (নারী ফুটবল দল) আজ (সোমবার, ...

প্রথম ম্যাচে টস হারলো বাংলাদেশ, দেখুন একাদশ

প্রথম ম্যাচে টস হারলো বাংলাদেশ, দেখুন একাদশ

ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল এখন ক্যারিবীয় ব্যাটারদের শুরুতেই চেপে ধরার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে। ...