৩ কারনে বাংলাদেশের সাথে বৈঠকে এত টালবাহানা ভারতের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে বৈঠকে বসতে চাইছে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই ভারতের বাংলাদেশের প্রতি সম্পর্ক কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। দেশটির রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন পর্যায়ে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক উন্নত করার জন্য চেষ্টা করলেও, ভারত পক্ষ থেকে খুব একটা সাড়া মেলেনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও, সম্পর্কের এই দুরত্ব এখনো কাটানো সম্ভব হয়নি।
আগামী ২ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ষষ্ঠ বিমস্টেক সম্মেলনের ফাঁকে ঢাকার পক্ষ থেকে দুই দেশের সরকার প্রধানদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে, ভারত এখনো সেই প্রস্তাবের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে, প্রশ্ন হচ্ছে, কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে বৈঠক করতে এড়িয়ে যাচ্ছেন?
এই পরিস্থিতির পেছনে মূলত তিনটি কারণ রয়েছে:
প্রথমত, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতা থেকে পতনের পর, ড. মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি করেছেন। এদিকে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের দূরত্ব বাড়তে থাকে, বিশেষ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, গুম-খুন ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামিলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের মামলা চলছে। বৈঠকে বসলে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাকর্মীদের প্রত্যর্পণ চাওয়া হবে। কিন্তু ভারত এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না।
তৃতীয়ত, ভারতের অবস্থান স্পষ্ট। গত দুই মাস আগে, বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছিল, কিন্তু দিল্লি সেই চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি। ভারত বরং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে।
ভারত মনে করে, এই বৈঠকে তিস্তা পানি সংকট এবং সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়গুলো উঠে আসবে। এছাড়াও, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রত্যর্পণ বিষয়ে আলোচনা হবে, যা ভারত রাজি হবে না। এর ফলে, ড. ইউনুসের সঙ্গে বৈঠকও পিছিয়ে যাচ্ছে।
এই কারণে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সাথে বৈঠক করতে ইচ্ছুক নন।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- বাংলাদেশকে সতর্কবার্তা পাঠাল ইরান
- যাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা
- সয়াবিন তেলের দাম কমে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
- অবশেষে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা পুনরায় চালু
- সরকারি কর্মচারীদের বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা
- মৃত্যুর পর ভাই বোনের আর কখনো দেখা হবে না, ইসলাম কি বলে
- ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ
- বড় সুখবর দিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত
- স্বর্ণের বাজারে বড় ধাক্কা, লাফিয়ে কমছে দাম
- আজ দেশের বাজারে এক ভরি সোনার দাম
- ইরানের শিয়ারা কি মুসলমান নয়, যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ
- ইরানের বিজয় নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা)
- পুরুষদের গোসল ফরজ হলে যেসব কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
- কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা
- বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ নিরাপদ ব্যাংক