বাংলাদেশকে ছাড় দিচ্ছেনা ভারত নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছে চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র টানাপোড়েন, যার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ভিসা কার্যক্রমও। তবে, সম্পর্কের এই অস্থিরতার মধ্যেও বাংলাদেশ মেডিকেল ভিসা পুনরায় চালু করার জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু ভারত কোনোভাবেই সাড়া দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের প্রতি নতুন একটি পরিকল্পনা সাজাচ্ছে, যা সম্পর্কের ভবিষ্যতকে নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারে।
শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে চিকিৎসা নিতে ভারতে যাওয়া বাংলাদেশিদের উপর। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় আট মাস পরেও পরিস্থিতি এখনও বদলায়নি। মেডিকেল ভিসা পুনরায় চালু করার জন্য বাংলাদেশের আবেদনেও সাড়া দিচ্ছে না ভারত।
এদিকে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের মধ্যে চীন বাংলাদেশের প্রতি নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছে, যা ভারতের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শুধু তাই নয়, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের কাজের ক্ষেত্রও সম্প্রসারণ হচ্ছে, এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক গড়ার একটি বিরল সুযোগ তৈরি হয়েছে, যেখানে মেডিকেল সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
*রয়েটার্স* এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশীরা ভারতে সাধারণত সাশ্রয়ী মূল্যের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিতে যেতেন। এটি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করতে সহায়তা করেছিল এবং চীনের আঞ্চলিক প্রভাব সীমিত রাখতে সাহায্য করেছিল। তবে, ভারতের ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আসার কারণে চীন বাংলাদেশের জন্য আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি করেছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াওয়ান বলেছেন, চিকিৎসা পর্যটন বাজারে সম্ভাবনা অনুসরণ করার জন্য এই মাসে একদল বাংলাদেশী চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইউনিয়ন সফর করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর, চীনের ১৪টি কোম্পানি বাংলাদেশে ২৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। চীন ঢাকায় একটি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল খোলার বিষয়টি বিবেচনা করছে, যেখানে চিকিৎসা নিতে আসাদের জন্য প্রবেশাধিকার সহজ করা হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পারস্পরিক লাভজনক সহযোগিতা গভীর করার জন্য বাংলাদেশে কাজ করতে তারা আগ্রহী। চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতা কোনো তৃতীয় পক্ষকে লক্ষ্য করে নয়, এবং এটি তৃতীয় পক্ষের কারণে প্রভাবিত নয়।
এই সংকটের সূত্রপাত হয়, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পর, আগস্ট মাসে ভারত তাদের মিশন থেকে অনেক কূটনৈতিক ও পরিবারকে সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই এই সংকটের শুরু।
শাহাদাত/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- নিজ অফিসেই শেষ গুলি, এএসপি আত্মহত্যার পেছনে যে কষ্টের গল্প বললেন ভাই
- এএসপি পলাশের আত্মহত্যা একদিন পর বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- হঠাৎ হামলা! পাকিস্তানের মিসাইলে কাঁপলো ভারতের ১৫ শহর
- দুই দিনের ছুটি বাতিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে
- হাসনাত আব্দুল্লাহ মারা গেছেন; গুজবের আসল সত্য জানুন এখনই
- এক বিছানায় দুই স্ত্রী নিয়ে থাকলে ইসলাম কী বলে
- পাকিস্তানের বিপক্ষে যুদ্ধে কত সৈন্য হারিয়েছে স্বীকার করল ভারত
- বাংলাদেশকে চিঠি দিয়ে যা চাইলো ডোনাল্ড ট্রাম্প
- কাশ্মীরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: পাকিস্তানের দাবি, ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত
- আবদুল হামিদের দেশত্যাগ ঘিরে তোলপাড়, কী বলছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পথে! কী বলছে সরকার
- নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফেরা পিছিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া
- আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ যা জানাল সিইসি