৮ বছরে বাংলাদেশ ২২১টি ভূমিকম্প মারা যেতে পারে ২ লক্ষ মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং আশপাশে গত আট বছরে ২২১টি ভূমিকম্প হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। ভূকম্পবিদরা জানাচ্ছেন, বারবার এমন কম্পন বড় ভূমিকম্পের আগমনের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। ভূ-তত্ত্ববিদরা বলছেন, ভূ-অভ্যন্তরে টেকটনিক প্লেটের অবস্থান এবং সেখানকার সঞ্চিত শক্তি গবেষণা করে তারা এই তথ্য বের করেছেন। তারা জানান, বাংলাদেশের ভূমিকম্পের সংখ্যা বছরে বাড়ছে এবং তাতে বিপজ্জনক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গত ৫ মার্চ দুপুরে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় একটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা। গত ১০ দিনে দেশের ভেতরে এবং আশপাশে ছোট ও মাঝারি মাত্রার বেশ কিছু ভূমিকম্প ঘটেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে যেখানে ২৮টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল, ২০২৪ সালে তা ৫৪টি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রতি বছর ভূমিকম্পের সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বারবার ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়া বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে। তাদের গবেষণায় জানা গেছে যে, বাংলাদেশের ভূ-তত্ত্বিক অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনটি টেকটনিক প্লেট—তিব্বত, ইন্ডিয়ান এবং বার্মিস প্লেটের সংযোগস্থল বাংলাদেশে রয়েছে। এই প্লেটগুলো প্রতি বছর একে অপরের দিকে কয়েক সেন্টিমিটার করে এগোচ্ছে এবং সেখানেই বিপুল শক্তি জমা হয়ে আছে। ভূকম্পবিদরা এটিকে 'লকড জোন' বলে উল্লেখ করেছেন, যেখানে শক্তি জমা হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে তা একত্রে মুক্তি পেতে পারে, যা ৯ মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে।
ঢাকা শহরে যদি ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে প্রায় ৭২,০০০ ভবন ধসে পড়বে এবং অন্তত ১,৩৫,০০০ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ৫০% ভবন একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বাকি ৫০% ভবন মাঝারি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি খুবই কম, যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। ঢাকা শহরকে এমন বড় ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত করতে ২০% সক্ষমতা প্রয়োজন, যা বর্তমানে তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশে ভূমিকম্প মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। ঢাকা শহরের মতো মেগা সিটিতে, যেখানে বড় ভূমিকম্পের পরে উদ্ধারকার্য পরিচালনা করতে ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন, সেখানে এখনও তা না থাকা বিপদজনক। মাত্র ৬০০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী দিয়ে এই বিশাল শহরের দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এজন্য স্থানীয় কমিউনিটি ভলান্টিয়ারদের তৈরি করা দরকার, যাতে তারা ভূমিকম্পের পর বেঁচে থাকা মানুষদের উদ্ধার করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং ভূমিকম্প সহনীয় শহর তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে, এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট উদ্যোগ নেই।
বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন, ভূমিকম্পের জন্য সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব হয়। বাংলাদেশের জন্য এই প্রস্তুতি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।
সোহাগ/
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে বড় পরিবর্তন: ১২ গ্রেড, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৪০ হাজার
- ফেব্রুয়ারির আগে পে স্কেল সম্ভব: অর্থ উপদেষ্টা যা বললেন
- মনোনয়ন বিদ্রোহ: ৪০ আসনে প্রার্থী বদলাচ্ছে বিএনপি!
- ৩ টি লক্ষণ থাকলে কখনো সন্তান হবে না
- সূর্য ডোবার পর আর উঠবে না ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত!
- পে স্কেল নিয়ে পে কমিশন থেকে বড় দুঃসংবাদ
- নতুন পে স্কেল কার্যকর কবে! বৈঠকে সচিবদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
- বিএনপির ৪০ আসনে প্রার্থী রদবদল চূড়ান্ত!
- বাংলাদেশের ভূমিকম্পের রেড জোন যেসব এলাকা
- সচিবদের সঙ্গে পে কমিশনের বৈঠক শেষ, মিললো সুখবর
- পে স্কেল নিয়ে সুখবর: জট খুলছে বেতন কাঠামোর
- আজকের সোনার বাজারদর: ২৪ নভেম্বর ২০২৫
- রাইজিং স্টারস ফাইনাল: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, যেভাবে দেখবেন
- আজকের সোনার বাজারদর: ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- বড় ভূমিকম্প ‘খুবই নিকটে’: ঢাকার বিপদ স্পষ্ট করলেন বিশেষজ্ঞরা
