এবার সরকারি চাকরিজীবীদের পাঁচ দফা দাবি

১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের জাতীয় ফোরাম সরকারের কাছে তাদের পাঁচ দফা দাবির গুরুত্ব তুলে ধরতে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সভাপতি মো. মিরাজুল ইসলাম কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির বিষয়টি তুলে ধরেন।
ফোরামের প্রথম এবং প্রধান দাবি ছিল, দ্রুত নবম পে-স্কেল ঘোষণা করা এবং পূর্ববর্তী সময়ের জন্য ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান। সংগঠনটির দাবি, যদি এই পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়, তবে সরকারি কর্মচারীরা বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি পাবে এবং তাদের আর্থিক অবস্থা আরও উন্নত হবে।
এছাড়া, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনরায় চালু করার পাশাপাশি সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আধুনিক ও সমন্বিত করার কথা বলা হয়। ফোরামের নেতারা বলেন, বর্তমানে যে নিয়োগবিধি বিদ্যমান, তা অসংগতিপূর্ণ এবং এটি সংশোধন করা প্রয়োজন। তাই একক নিয়োগবিধি এবং কর্মচারীদের শিক্ষা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।
ফোরামের পাঁচ দফা দাবি গুলো ছিল:
১. নবম পে-স্কেল ও মহার্ঘভাতা: দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন করে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ করা এবং নবম পে-স্কেল ঘোষণার পূর্বে ৫০ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান করা।
২. টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড: টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনরায় চালু করা এবং বর্তমান অসংগতিপূর্ণ নিয়োগবিধি পরিবর্তন করে সমন্বিত নিয়োগ প্রণয়ন করা।
৩. পদোন্নতির সমান সুযোগ: পদোন্নতির ক্ষেত্রে সমান সুযোগ প্রদান এবং ব্লকপোষ্ট প্রথা বিলুপ্ত করা, যাতে প্রতিটি কর্মচারী সমানভাবে পদোন্নতি লাভ করতে পারে। আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা।
৪. সরকারি কর্মচারীদের সুবিধা বৃদ্ধি: সকল দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, সায়ত্বসাশিত প্রতিষ্ঠান এবং করপোরেশনের কর্মচারীদের জন্য সচিবালয়ের মতো পদমর্যাদা ও গ্রেড প্রদান এবং অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো।
৫. পেনশন ও গ্রাচুইটির পরিমাণ বৃদ্ধি: পেনশনের হার ১০০ শতাংশ করা, গ্রাচুইটির পরিমাণ বৃদ্ধি করা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য ঝুঁকি ভাতা এবং অতিরিক্ত কাজের জন্য অভারটাইম ভাতা প্রদান করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের কার্যকরী সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. কুদ্দুস মোল্লা, জিয়াউর রহমান, জহিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মেরাজুল হক রানা, জামাল বেগ, সারমিন রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম হোসেন এবং অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক অভিজিত রায়সহ অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়া বিভিন্ন দফতর ও অধিদফতরের কর্মচারী নেতারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
ফোরাম সরকারের কাছে তাদের দাবিগুলোর প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন করেছে, যাতে সরকারি কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার পেতে পারে এবং তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হোক।
এছাড়া, ফোরামের নেতারা বলেন, সরকার যদি তাদের দাবি দ্রুত কার্যকর করে, তবে তা সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি বড় অর্জন হবে এবং এতে কর্মচারীদের মধ্যে আস্থা ও সন্তুষ্টি সৃষ্টি হবে, যা দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ
- আবারও ইসরায়েলে হামলা
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হতে পারে বিকট শব্দ, যা জানা গেল
- তীব্র শব্দে কেঁপে উঠলো ইরান, যা জানা গেল