| ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

ধানমন্ডি ৩২-এ হামলা ও ভাঙচুর, যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . বিনোদন৬৯.কম
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৪:০৭:৪৩
ধানমন্ডি ৩২-এ হামলা ও ভাঙচুর, যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা

গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পর, ৫ ফেব্রুয়ারি লাইভে এসে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়মুক্তি চেয়ে বক্তব্য দেন। পরের দিন, ৬ ফেব্রুয়ারি আবারো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন তিনি। এই ভাষণ কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা, যার প্রতিবাদে তারা ধানমন্ডি ৩২-এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

এই ঘটনার পর, প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ঘটনাটির বিষয়ে মন্তব্য করেন। এসআই রাজ জানাচ্ছেন, ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানে বসে তিনি নানা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো অনুশোচনা না করে, তিনি বিদ্বেষ ছড়িয়ে চলেছেন, যা জনমনে অসন্তোষ বাড়াচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন এবং তার একদিন আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতেও ছাত্রদের উদ্দেশ্যে লাইভে কথা বলেন।

এই সব বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের বাসভবন এবং অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। বিশেষ করে ধানমন্ডি ৩২-এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত বলে বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে। তার এসব বক্তব্যের ফলস্বরূপ, ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলা এবং ভাঙচুর ঘটে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনার বক্তব্যের কারণে জনগণের ক্ষত আরও বাড়ছে, বিশেষ করে জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তার অপমানকর মন্তব্যের কারণে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এছাড়া, মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী শেখ হাসিনা যদি তার বক্তব্য বন্ধ রাখতেন, তবে এই ধরনের সহিংসতা এড়ানো সম্ভব হতে পারত। ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন তারা তার ভূখণ্ডে বাংলাদেশের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়।

অন্তর্বর্তী সরকার আরো জানিয়েছে যে, জুলাই মাসের গণহত্যায় যারা জড়িত ছিল, তাদের বিচার কাজ চলমান রয়েছে এবং এই বিচার নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উস্কানিমূলক কার্যকলাপে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ

ক্রিকেট

পঞ্চপাণ্ডব ছাড়াই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ, দেখে নিন সম্ভাব্য একাদশ

পঞ্চপাণ্ডব ছাড়াই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ, দেখে নিন সম্ভাব্য একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগাররা। তিন ...

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

তামিমের অবসর নাটকের পর্দা ফাঁস!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত অধ্যায়গুলোর একটি—তামিম ইকবালের হঠাৎ আন্তর্জাতিক অবসর। ...

ফুটবল

একটু পরে মাঠে নামছে পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি, ফ্রিতে লাইভ দেখবেন যেভাবে

একটু পরে মাঠে নামছে পিএসজি বনাম ইন্টার মায়ামি, ফ্রিতে লাইভ দেখবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২৫-এর রাউন্ড অব ১৬-এ মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেইন ...

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

আমেরিকার মাটিতে কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না ইরান!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনীতির আঁচ এবার ছড়িয়ে পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে যখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ...