এই মাত্র পাওয়া ; সাগরে ভেসে পৌঁছাল ২৬৪ জন!
 
								কয়েকদিন সাগরে ভেসে থাকার পর অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় আচেহ প্রদেশে পৌঁছেছেন ২৬০ জনেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। দু’টি নৌকায় করে এই শরণার্থীরা আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছান, এবং তাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যদিও তারা কয়েক প্রজন্ম ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে। দেশটিতে তাদের নাগরিকত্বও নেই এবং তারা ব্যাপক নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার।
বছরের পর বছর ধরে, বিশেষত অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত, যখন সমুদ্র শান্ত থাকে, অনেক রোহিঙ্গা কাঠের নৌকায় চড়ে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং অন্যান্য প্রতিবেশী মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পূর্ব আচেহর কর্মকর্তা ইস্কান্দার জানিয়েছেন, শরণার্থীদের সর্বশেষ দলটি রোববার রাতে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে পশ্চিম পিউরুলাক শহরের একটি সৈকতে পৌঁছায়। তিনি আরও বলেন, এই দলে ২৬৪ জন শরণার্থী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১৭ জন পুরুষ, ১৪৭ জন নারী এবং ৩০ জন শিশু রয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তার মতে, শরণার্থীরা দু’টি নৌকায় করে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তবে একটি নৌকা উপকূলের কাছাকাছি গিয়ে ডুবে যায়, এবং অন্য নৌকাটি নিরাপদে উপকূলে পৌঁছায়। স্রোত কম থাকায়, শরণার্থীরা হেঁটে তীরে পৌঁছান।
ইস্কান্দার আরও জানান, মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ শরণার্থীদের তাড়া করে তাদের জলসীমা থেকে বের করে দিয়েছে। তবে, ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সরকার এখনও তাদের কোথায় সরিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এর আগে, শনিবার মিয়ানমারের প্রায় ৩০০ অভিবাসীকে বহনকারী দু’টি নৌকাকে মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড তাদের জলসীমা থেকে বের করে দেয়। শুক্রবার, লংকাউই দ্বীপের উপকূল থেকে দুই নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে নৌকা দু’টি পাওয়া যায় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তাদের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে।
ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গাদের পৌঁছানোর একটি ধারাবাহিক প্রবণতা রয়েছে। ঝড়ের মৌসুমে যখন সমুদ্রের পরিস্থিতি খারাপ হয়, তখন রোহিঙ্গাদের যাত্রা ধীর হয়ে যায়। সমুদ্র শান্ত হলে, তারা আবার যাত্রা শুরু করেন। গত নভেম্বরে পূর্ব আচেহ উপকূলে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেলে ইন্দোনেশিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী শতাধিক শরণার্থীকে উদ্ধার করেছিল।
ইন্দোনেশিয়া ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়, তবে দেশটি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- নতুন পে-স্কেলে যোগ হলো কঠোর বিধান
- সোনার দামে মহাধস! দাম নেমে এলো ১ লাখ ১৯ হাজার টাকায়
- জানুয়ারি থেকেই নতুন পে-স্কেল কার্যকর!
- কঠোর সিদ্ধান্তে সেনাবাহিনী: ২৪ ঘণ্টা সব থানায় সেনা সহায়তার ঘোষণা
- রেকর্ড পতন শেষে চাঙ্গা স্বর্ণের বাজার
- ২০ গ্রেডের কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে: সরকারি কর্মীদের বেতন অনুপাত পাল্টে দেবে যে নতুন প্রস্তাব
- কঠোর সিদ্ধান্ত নিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান
- পে কমিশনে মতবিনিময় শেষ: সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন কত হল
- এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ১ লাখ ৩১ হাজার টাকায়
- দেশের বাজারে লাফিয়ে ২৪ হাজার টাকা কমলো সোনার দাম
- সোনার দাম কমলো ১০ হাজারের বেশি, আজ থেকে নতুন মূল্য কার্যকর
- নতুন বেতন কাঠামোতে বড় সুখবর পাচ্ছে বেসরকারি চাকরিজীবীরা
- পে-স্কেলের মূল বেতন ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব
- ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে নতুন পে স্কেল!
- সোনার বড় দরপতন, এক সপ্তাহেই দাম কমেছে ৮ শতাংশ

 গুগল নিউজ ফলো করুন
        গুগল নিউজ ফলো করুন
     
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
                     
                     
                    