যেভাবে বিডিআর হ*ত্যা*কা*ণ্ডে ফেঁ'সে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) সদর দফতরে সেনা অফিসারদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদসহ মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বের যোগসাজশ থাকতে পারে, যা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আসে।
এছাড়া, বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার কমিশন গঠন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। সরকারের দাবি ছিল যে, দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে, তাই নতুন কোনো কমিশন গঠন করার প্রয়োজনীয়তা নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হাইকোর্টে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায় এবং আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক, আইনবিদ, এবং নাগরিক সমাজের সদস্যরা মনে করেন যে, সরকারের এ পদক্ষেপ জাতির কাছে অস্বচ্ছ এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় পিলখানায় ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি সামরিক বিপ্লবের ঘটনা ছিল না, বরং এর পিছনে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ক্ষমতার জটিলতা এবং কিছু বিশেষ সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল বলে অনেকেই দাবি করেন। হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কমিশন গঠন না করার সিদ্ধান্তকে অনেকেই সরকারের অব্যক্ত দুর্বলতা এবং অপারগতার প্রতিফলন হিসেবে দেখেছেন। বিশেষ করে, যেহেতু ঘটনাটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্কের মধ্যে গভীর সম্পর্কিত ছিল, তাই কমিশন গঠন করলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারত।
বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারা এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানকে গুরুতরভাবে সমালোচনা করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, সরকার শুধু একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের জন্য এই হত্যাকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দিতে চাইছে এবং এর মাধ্যমে অপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছে। তাদের মতে, এমন একটি ঘটনার পর যখন জনগণের কাছে সত্য জানতে চাওয়া হচ্ছে, সরকার যদি তদন্ত বা কমিশন গঠন না করে, তবে তা একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং অন্যান্য উঁচু পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বশীলতা নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই মামলাটি বাংলাদেশের রাজনীতির এক অন্ধকার অধ্যায়কে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে, যেখানে ক্ষমতা, প্রভাব এবং সেনাবাহিনীর এক অদ্ভুত সম্পর্ক ছিল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই তদন্তে যদি কোনো বড় তথ্য প্রকাশ পায়, তবে তা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হিসেবে চিহ্নিত হবে।
এছাড়া, অনেক মানবাধিকার সংগঠন এবং সুশীল সমাজের নেতারা মনে করেন যে, এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক আদালত ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মাধ্যমে হওয়া উচিত, কারণ দেশের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা এমন একটি কেসের মধ্যে কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া যেন দেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের এক কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করেন, একে শুধুমাত্র একটি সামরিক বিপ্লব বা হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখলে ভুল হবে, কারণ এটি দেশের পুরো রাজনৈতিক ও সামরিক কাঠামো এবং সরকারের ভূমিকার ওপর বড় প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- ১৮ ডিসেম্বরে পে-স্কেল ঘোষণা, যা জানা গেল
- সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর: তিন ধাপে আসছে নবম পে-স্কেল
- নবম পে-স্কেল: গেজেট নেই, ১৮ ডিসেম্বর নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- আজকের স্বর্ণের বাজারদর: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
- অর্থ উপদেষ্টা কী বলছেন! পে-স্কেল বাস্তবায়নে নতুন মোড়
- Ipl Auction 2026: মুস্তাফিজের দিকে নজর ৫ দলের
- আইপিএল নিলাম ২০২৬: এখন পর্যন্ত দল পেলেন যারা, মুস্তাফিজের অবস্থান কি
- সরকারি কর্মচারীদের পে-স্কেল আপডেট: অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক
- নবম পে-স্কেল: সর্বশেষ অগ্রগতি জানাল পে-কমিশন
- বাংলাদেশে আজ এক ভরি ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম
- আইপিএল ২০২৬ নিলাম: মুস্তাফিজ-রিশাদের অবস্থান
- ওসমান হাদির বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু
- IPL Auction 2026: সরাসরি দেখুন
- প্রায় ১২ কোটি টাকায় আইপিএলে বিক্রি হলেন মুস্তাফিজ
