হাসিনাকে দিল্লিতে রেখেই যে কারনে দুই কুল সামলাতে মরিয়া ভারত, আসলে তারা যা চায়!

ভারতের আশ্রয়ে আছেন দেশ পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে নিজেদের কাছে রেখেই ঢাকার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। ঘোষণা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ডোবানোর অভিযোগ, স্বৈরাচারি নেত্রীকে একচেটিয়া সমর্থন সহ নানা কারণে বাংলাদেশে বেড়েছে ভারত বিরোধিতার মাত্রা। এর মাঝেই দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
৩০ আগস্ট শুক্রবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বললেন, নিজেদের স্বার্থেই টিকিয়ে রাখতে হবে পারস্পরিক সম্পর্কও। বাংলাদেশ আপনারা জানেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ওঠা নামার ভেতর দিয়ে গেছে। দেশের সরকার যে থাকে তার সঙ্গে আমরা সম্পর্ক বজায় রাখব। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের এটাও স্বীকার করে নিতে হবে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। যে কোনও রাজনৈতিক পরিবর্তন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ব্যাহত করতে পারে। আর এটা পরিষ্কার যে আমাদের সম্পর্কের বিষয়টিকে দু পক্ষের স্বার্থের দিক থেকেই দেখতে হবে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকার অর্থ যে কোনও চুক্তিতে লাভবান হবে। দুই দেশই কিন্তু নিজের শাসনামলে দেশ ও জনগণের স্বার্থ ভুলে গিয়ে ভারতের সব চাহিদা পূরণ করেছেন। শেখ হাসিনা কোনো বিনিময় ছাড়াই দিয়েছেন ট্রানজিটের মতো স্পর্শকাতর সুবিধা আদানি গ্রুপের সঙ্গে করেছেন অলাভজনক বিদ্যুত্ ক্রয় চুক্তি স্থায়ী ভিত্তিতে ভারতকে দিয়েছেন চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাময়িক থমকে আছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার চলমান বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পের কাজ।
এ সব প্রজেক্ট এর কার্যক্রম আবারও শুরু করতে চায়। বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে এমনটা ঘটেছে যখন এই অবস্থা স্থিতিশীল হবে, সব কিছু স্বাভাবিক হবে। তখন আমরা আলাপ শুরু করব। আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন উদ্যোগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে পরামর্শ করব, আলোচনা করব কিভাবে সেগুলোকে সামনে এগিয়ে নেওয়া যায়। দেখা যাক আমরা কী রকম বোঝাপড়ায় পৌঁছতে পারি।
ভারতের সহযোগিতায় ক্ষমতায় টিকে ছিল শেখ হাসিনার সরকার বিরোধীদের নিষ্ঠুরভাবে দমন ও পাতানো নির্বাচনে তাঁকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে দিল্লি। এমনটাই মনে করে বাংলাদেশের বড় একটি অংশের মানুষ। দেশের পরিবর্তে বহুদিন ধরেই কেবল আওয়ামী লীগ দলের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল ভারত। স্বৈরাচারের প্রতি দীর্ঘদিনের অন্ধ সমর্থন ও অভ্যুত্থানে পতনের পর হাসিনার দিল্লিতে আশ্রয়ে বাড়িছে সাধারণ জনগণের সন্দেহ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই শীতল সময় পার করছে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক।
নতুন সরকারের সাথে চলছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকদের যোগাযোগ। পাশাপাশি আওয়ামি লিগ নেত্রীকে ও দিল্লি রাখছে। নিজেদের আশ্রয়ে একদিকে হাসিনা অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার একসাথে দুই নৌকায় ভারতের পা জটিল করে তুলছে পুরো পরিস্থিতি। তবে বর্তমান সঙ্কটের কতটা দিল্লির ইচ্ছাকৃত চক্রান্ত।আর কতোটা দুই কূল সামলানোর চেষ্টা সময়ই বলবে সে কথা। আসলে ভারত চাই দুই কুল ঠিক রেখে সুবিধা মত সময় হাসিনা কে দেশে পাঠিয়ে নিজেদের স্বার্থ ঠিক রাখতে।
আপনার জন্য নির্বাচিত নিউজ
- পায়খানার রাস্তার লোম কাটা জায়েজ কিনা
- সহবাসের পর বীর্য বাইরে ফেললে গুনাহ হয় কি
- দেশে জ্বালানি তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ
- বাংলাদেশের বাজারে আজ ১ ভরি সোনার দাম
- কোন রক্তের গ্রুপে গরম বা শীত বেশি লাগে
- বাংলা ১০ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের
- অবশেষে ভারতীয় ভিসা নিয়ে এলো বড় সুখবর!
- নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে বাংলাদেশ!
- মৃত্যুর আগে মানুষ যে স্বপ্ন বার বার দেখে
- চাকরিতে থাকা বা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বড় সুখবর
- অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠাল ভারত
- ইরানের জন্য নতুন দুঃসংবাদ
- আবারও ইসরায়েলে হামলা
- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হতে পারে বিকট শব্দ, যা জানা গেল
- তীব্র শব্দে কেঁপে উঠলো ইরান, যা জানা গেল